চট্টগ্রামে ঐতিহ্যবাহী পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) জশনে জুলুসে মানুষের ঢল নামে। নানা শ্রেণি পেশা ও বয়সের মানুষ এতে শরিক হয়। সবার মুখে হামদ, নাত, দরূদ আর শ্লোগান। কারো হাতে লাল সবুজের পতাকা। কারো হাতে ফ্রান্সের পণ্য বয়কটের আহ্বান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড, রাসুল (সা.) এর ব্যঙ্গ চিত্র প্রকাশের প্রতিবাদি শ্লোগান।
আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে এ জশনে জুলুস (র্যালি) বের করা হয়। শুক্রবার সকাল ৮টায় আলমগীর খানকাহ থেকে শুরু হয়ে র্যালিটি জামেয়া মাদরাসার কাছে জুলুস ময়দানে এসে শেষ হয়। সেখানে মাহফিল চলছিলো। মাহফিলে দেশবরেণ্য আলেম-ওলামাগণ বক্তব্য রাখছেন। জুলুস ময়দানে পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করা হবে।
শুরুতে করোনা মহামারির কারণে কর্মসূচি বাদ দেয়া হলেও প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে সীমিত আকারে ঐতিহাসিক জুলুস অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
তবে জুলুস শুরু হতেই তাতে মানুষের ঢল নামে। করোনার ভয়কে উপেক্ষা করে নবীপ্রেমিক মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। মহানগরী ও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন জুলুসে শরিক হয়।
জুলুসে নেতৃত্ব দেন আনজুমানের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মহসিন, সেক্রেটারি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, গাউসিয়া কমিটির চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ, জামেয়ার অধ্যক্ষ মুফতি অছিউর রহমান আলকাদেরি প্রমুখ।
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ও শুক্রবার জুমার নামাজের কারণে এবার জুলুসের রোডম্যাপ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।
১৯৭৪ সাল থেকে প্রতিবছর ১২ রবিউল আউয়াল আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় এ জুলুস হয়ে আসছে। ওই বছর নগরীর বলুয়ার দীঘি খানকাহ থেকে আল্লামা তৈয়্যব শাহ (রহ.) এ জুলুসের সূচনা করেন।
আয়োজকরা জানান, স্বাস্থ্যবিধি ও জুলুসের শৃঙ্খলা এবং মাহফিলের আদব রক্ষায় আনজুমান সিকিউরিটি ফোর্সের পাশাপাশি কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করছেন। মুখে মাস্ক না থাকলে জুলুস বা মিলাদে অংশ নিতে দেওয়া হচ্ছে না। বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে কয়েক লাখ মাস্ক।
জামেয়া লাগোয়া জুলুস মাঠে মাহফিল, জুমার নামাজ ও আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। আখেরি মোনাজাতে করোনামুক্ত বিশ্বের জন্য দোয়া করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন