শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

২০১৮ সাল থেকে এক ভবনে সব সেবা দেবে এনবিআর

প্রকাশের সময় : ১৭ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ২০১৮ সালের ফেব্রæয়ারি মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নতুন ভবনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা হতে হবে। ৩০ তলাবিশিষ্ট সুউচ্চ এই ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময় ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত। তবে এ সময়ের আগেই এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজস্ব ভবনে অফিস করতে পারবেন। এক ছাদের নিচে সব ধরনের সেবা পাবেন সব কর অঞ্চলের করদাতারা। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব ভবন নির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শনকালে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের উপস্থিতিতে প্রকল্প পরিচালক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সদস্য আবদুর রাজ্জাক এ তথ্য জানান। এ সময় রাজস্ব ভবন প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে জমি খুবই কম। তার ওপর ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ। ঢাকায় সরকারি অফিসের মধ্যে এটি হবে সর্বোচ্চ উঁচু ভবন। এখানে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার হবে। আগামী ৮ থেকে ৯ মাসের মধ্যে এনবিআর ভবনের কাজ কিছুটা শেষ হবে। তখন কিছুটা হলেও ব্যবহার করা যাবে। তিনি বলেন, এ ভবন নির্মিত হলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অধীনে সব অফিস এ ভবনে চলে আসবে। শুধু এনবিআর নয়, সব সরকারি অফিস এক ছাদের অধীনে নিয়ে আসা উচিত।
নির্মাণকাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রকল্প পরিচালক আবদুর রাজ্জাক বলেন, রাজস্ব ভবন হবে দেশের সবচেয়ে আধুনিক ভবন। করদাতাদের সহায়তায় সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা এখানে থাকবে। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের আগে অর্থাৎ ২০১৮ সালের ফেব্রæয়ারিতে এ ভবন ব্যবহারের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত করা সম্ভব হবে।
এনবিআর ভবন নির্মাণ প্রকল্প কার্যালয় সূত্র জানায়, প্রথমে ২০ তলা সুউচ্চ ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু জায়গা সঙ্কটের কথা বিবেচনা করে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় ভবনটি ৩০তলা পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালে মার্চে শুরু হয় রাজস্ব ভবন তৈরির মূল কাজ। এই ভবনের সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে আবদুর রাজ্জাক বলেন, ভবনে থাকবে আধুনিক সব সুবিধা। ব্যাংক, করদাতা তথ্যকেন্দ্র, অডিটোরিয়াম, কনভেনশন সেন্টার, কর্মকর্তাদের জন্য জিম, সুইমিংপুল, হেলিপ্যাড থাকবে। প্রথমে এনবিআর সংশ্লিষ্ট অধিদফতর, পরিদফতরগুলোকে এখানে স্থান দেয়া হবে। পুরো ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হলে ঢাকার কর অঞ্চল ও ভ্যাট কমিশনারেটগুলোকে স্থানান্তর করা হবে। ভবনের বেজমেন্টসহ অন্যান্য স্থানে ২৫০টি প্রাইভেট কার, দেড় শতাধিক মোটরসাইকেল, ২০-২৫টি বাস পার্কিংয়ের সুবিধা থাকবে। আর ভবনে থাকবে অত্যাধুনিক লিফট, স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর, ইলেকট্রিক সাবস্টেশন, সেন্ট্রাল এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেম, ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম, ওয়াটার সাপ্লাই সিস্টেম।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন