চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি মহাসড়কে তীব্র যানজটের কারণে হাজার হাজার যাত্রীসাধারনকে প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যাত্রার শুরুতেই যানজটে নাকাল অনাহুত ভোগান্তিতে মানুষের চোখেমুখে এক রাশ বিরক্তি আর অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বয়স্ক ও শিশুরা। হাটহাজারী টু নাজিরহাট পর্যন্ত সড়ককে তিনলাইনে রুপান্তরের কাজের ধীর গতিও এ যানজটের অন্যতম কারন বলে জানান অনেকেই।
সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের মধ্যে হাটহাজারী পৌরসভা সদর মীরেরহাট ও এগার মাইল পর্যন্ত প্রায় সময় তীব্র যানজট লেগেই থাকে। এছাড়াও উপজেলার নাজিরহাট বাজার, ফরহাদাবাদ বাজার, কাটিরহাট বাজার, সরকাহাট বাজার, চারিয়া, মীরেরহাট, হাটহাজারী পৌর সদর, বাজার, বাসষ্টেশন, কলেজ গেইট,
চবি ১নং সড়কের মাথা এলাকায় তীব্র যানজটে আটকে থাকা যাত্রীদের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বিশেষ করে যানজটে আটকে এ্যাম্বুলেন্সে থাকা রোগী, নারী, বৃদ্ধ ও শিশুদের দুর্ভোগের শেষ নেই। এই দীর্ঘ যানজটের মূলকারণ হলো সড়কের উপর দোকান বসানো, যেখানে সেখানে গাড়ি পাকিং করা, সড়কের মাঝ পথেই যাত্রী উঠা-নামাসহ পৌর এলাকায় মহাসড়কে অবৈধ ব্যাটারি চালিত রিক্সা। যার কারণে প্রায় প্রতিদিনই এই যানজট লেগেই থাকে। দুই পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি ও খাগগাছড়ি সহ ২২টি সড়ক-মহাসড়কে ছোট বড় গাড়ি চলাচল করে থাকে। রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম-হাটহাজারী মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে সড়কের পাশে আবার কিছু কিছু জায়গায় সড়কের উপর দোকান বসায় এই যানযটের কারণ বলে মনে করছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি, বৃষ্টিপাত ও সড়ক সংস্কারের অভাবে বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়ে যানজট, বৃষ্টিতে খানাখন্দ আরো গভীর হচ্ছে। গর্তে পড়ে বিকলও হচ্ছে অনেক গাড়ি, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে সেগুলো সরাতে বেগ পেতে হয়। এছাড়া অতিরিক্ত পণ্যবহন করতে গিয়ে যান বিকল হয়ে যাওয়ায় প্রায় সবগুলো মহাসড়কে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে সড়ক-মহাসড়কে যানজট নিরসণের জন্য ট্রাফিক পুলিশ কাজ করে গেলেও তবে ট্রাফিক পুলিশ সারাদিন টোকেন ব্যাবসায় মগ্ন । হাটহাজারী থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এম,পি র প্রচেষ্টায় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সড়ক উন্নয়নের জন্য প্রায় ৪০০ শত কোটি টাকা বরাদ্দ দিলে এই কাজ ছলচে একেবারে কছ্চপ গতিতে। এই কাজের জন্যও যানজট সৃষ্টি হছে্চ বলে মনে করছেন অনেকেই
খাগড়াছড়ি রোড়ের এক যাত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেন,' হাটহাজারী থেকে সরকারহাট যেতে যতক্ষণ সময় লাগছে ততক্ষণে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পৌঁছানো যাবে। হাটহাজারী যেনো অভিভাবকহীন, তাই এসব দুর্ভোগ দেখার কেউ নাই।"
স্থানীয় সচেতন মহল বলেন, সড়কের বিভিন্ন জায়গায় দোকান বসানো, যত্রতত্র গাড়ি পাকিং ও অতিরিক্ত যানবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে । তবে তারা সড়কে ট্রাফিক পুলিশের সাথে আরো অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের দাবি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন