বিশেষ সংবাদদাতা : ২০০৮ সালে ঘোষণা দিয়ে মোহাম্মদ রফিক যখন নিয়েছেন অবসর, তখন উত্তরসূরি হিসেবে মোশাররফ রুবেলের দিকে চোখ রাখতে বলেছিলেন বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে-জয়ী দলের নায়ক। রফিকের সেই অনুরোধ রেখে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সে বছরই ওয়ানডে সিরিজের দলে জায়গা পেয়েছিলেন মোশাররফ রুবেল। তবে ওই সিরিজে ৩ ম্যাচে ১ উইকেটেই থেমে গেছে তার ওয়ানডে ক্যারিয়ার। অর্থের মোহে ভারতের নিষিদ্ধ ক্রিকেট লীগ আইসিএলে ঢাকা ওরিয়র্সের হয়ে ২০০৯ সালে যোগ দিয়ে করেছেন ভুল, ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফরমেন্সের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেও ফিরতে পারেননি আর জাতীয় দলে। ওই একটি ভুলের মাশুলটা যে এতো বড়, তা হাড়ে হাড়ে পাচ্ছেন টের সর্বশেষ প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের সেরা অল রাউন্ডার (৩৫০ রান ও ১২ উইকেট)Ñ‘তখন যদি আইসিএলে না যেতাম তাহলে আমার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার হতে পারতো। একবার জাতীয় দল থেকে বের হয়ে গেলে বা ট্র্যাক থেকে বেরিয়ে গেলে যে কারও জন্য ফেরা অনেক কঠিন।’
আইসিএলের ধাক্কা এতোটাই লেগেছে যে, প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে ৮৬ ম্যাচে ৩৩৯ উইকেটেও নির্বাচকদের বিবেচনায় আসছেন না মোশাররফ রুবেলÑ‘ফেরার পর দুই বছর সেভাাবে কোনো ক্রিকেটই খেলিনি। পাঁচ বছর এমনি এমনি কেটে গেছে। এতোটা যে পিছিয়ে পড়ব, তা ভাবিনি।’
সর্বশেষ জাতীয় লীগে ২৭ উইকেট পেয়ে চতুর্থ সেরা বোলার তিনি। লম্বা স্পেলে করতে পারেন বল, প্রয়োজনে ব্যাটিংয়ের দাবিটাও মেটানোর ক্ষমতা আছে। বয়স ৩৪, তাতে কি? যেভাবে নিজেকে করছেন প্রস্তুত, তাতে জাতীয় দলে ফেরার স্বপ্ন দেখেন মোশাররফ রুবেল। তবে সব কিছু ছেড়ে দিয়েছেন ভাগ্যের উপরÑ‘সামনে বিসিএল আছে, সেখানে যদি ভালো করতে পারি, তাহলে সুযোগ আসতেই পারে। বিসিএলে সেরাটা খেলার চেষ্টাই করবো। বাকিটা ভাগ্যের হাতে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন