মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর সেটা বুঝতে পেরেই কিনা রাগের মাথায় একের পর এক টুইট করে যাচ্ছেন তিনি। একবার বলছেন, ভোট গণনা বন্ধ করতে। আবার বলছেন, নির্বাচনে ভোট কারচুপি হয়েছে। ট্রাম্পের এমন সব মন্তব্যে পর তার তীব্র সমালোচনা করেছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডেন ও জলবায়ু আন্দোলন কর্মী গ্রেটা টুনবার্গ। টুইটবার্তায় ভোট গণনা বন্ধ করতে বলার পর ট্রাম্পকে 'শান্ত' থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ওই সুইডিশ কিশোরী। আর ট্রাম্পের জয় দাবিকে 'ভিত্তিহীন' উল্লেখ করে তার সমালোচনা করেন জাসিন্ডা। খবর ডেইলি মেইল ও রয়টার্সের।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ভোট গণনা শেষ হওয়ার আগেই নিজেকে জয়ী দাবি করেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার প্রতিপক্ষ ডেমোক্রেটিক পার্টির বিপক্ষে ভোট চুরি চেষ্টার অভিযোগ এনে ভোট গণনা বন্ধ করতে আদালতে মামলা করেন তিনি। এরই মধ্যে এক টুইটবার্তায় তিনি লিখেছেন, ভোট গণনা বন্ধ করুন। এর পরই গত বৃহস্পতিবার প্রতিক্রিয়া দেন জাসিন্ডা ও টুনবার্গ।
ট্রাম্পের টুইটবার্তা রি-টুইট করে জলবায়ু আন্দোলন কর্মী গ্রেটা টুনবার্গ বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের শান্ত হওয়া উচিত। এবং তার ক্রোধ সংক্রান্ত বিষয়কে ব্যঙ্গ করে গত বছরের একটি টুইট রিটুইট করেন। এক টুইটবার্তায় টুনবার্গ লিখেছেন, 'খুবই হাস্যকর। ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাত্রদাহ বা খ্যাপামি সমস্যা নিয়ে তার অবশ্য কাজ করতে হবে। তারপর এক বন্ধুকে নিয়ে একটি ভালো পুরোনো মুভি দেখতে যেতে হবে। শান্ত হন ডোনাল্ড, শান্ত হন!'
এরপর একই ধরনের টুইট করেন ট্রাম্প। ব্যাপারটিকে হাস্যকর বলেন ট্রাম্প। তিনিও টুইটে বলেন, 'শান্ত হন গ্রেটা, শান্ত হন।' এর আগে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ১৭ বছর বয়সী গ্রেটাকে রাগ কমানোর পরামর্শ দেন ট্রাম্প। সে সময়ে বন্ধুর সঙ্গে পুরোনো কোনো সিনেমা দেখতে যেতেও বলেন তিনি। এবার তার এসব অপমানের সুদে-আসলে জবাব দিলেন গ্রেটা। গ্রেটার টুইটে দুই ঘণ্টায় চার লাখ ৫২ হাজারের বেশি লাইক পড়ে। ওই পরিমাণ সময়ে ট্রাম্পের টুইটে লাইক পড়ে গ্রেটার অর্ধেক।
ট্রাম্পের জয় দাবির পর দেশটিতে বিশৃঙ্খলার জন্য তাকে দায়ী করেছেন জাসিন্ডা। তিনি বলেন, নির্বাচন-পরবর্তী যুক্তরাষ্ট্র বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। আর নির্বাচন-পরবর্তী তার দেশকে 'শান্ত মরূদ্যানের' সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি। গত মাসে নির্বাচনে ভূমিধস জয় পেয়েছেন ৪০ বছর বয়সী লেবার পার্টির এই নেতা।
জাসিন্ডা বলেন, 'আমি যুক্তরাষ্ট্রের ভোটের ফলাফল পর্যবেক্ষণ করছি। তবে আমরা আমাদের সাম্প্রতিক নির্বাচনের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেওয়া ছাড়া আর কোনোভাবে তাদের সহায়তা করতে পারি না।' এ সময় তিনি ট্রাম্পের জয় দাবিকে প্রতারণা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের ওপর আমাদের বিশ্বাস ও আস্থা আছে। আমাদের বিশ্বাস ভোট গণনা চলমান থাকবে এবং একটি চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা আসবে।' নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'দেশটির গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের জন্য যত বড় চ্যালেঞ্জ আসুক না কেন তারা এগুলোর সমাধান করতে পারবে।' খবর ডেইলি মেইল ও রয়টার্সের।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন