হোসেনপুর থেকে মো: বাহার উদ্দিন সরকার :কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় কোরবানির পশুর হাটগুলোর প্রস্তুতি চলছে। ইতোমধ্যে পশু রাখার স্থানে মাটি ভরাট, খাটিয়া বসানো, পরিষ্কার-পরিছন্নতার কাজ প্রায় শেষ।
গত মঙ্গল ও বুধবার হাট ঘুরে দেখা যায়, এখনো কোরবানির পশু বেচা-বিক্রি শুরু হয়নি। এলাকাবাসীর ধারণা, গত বছরের মতো এবারও পশুর হাটে প্রাধান্য পাবে স্থানীয় দেশী গরু। তবে ঈদের আগে ভারতীয় গরু-মহিষ বাংলাদেশে আমদানি না হলে দেশীয় গরু হবে আমাদের একমাত্র ভরসা। ঈদের এখনো প্রায় ২০-২১ দিন বাকি। ইতোমধ্যে এলাকার পশু ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন স্থান থেকে এক-দেড় মাস আগেই পশু ক্রয় করে বাড়িতে লালন-পালন করছেন।
হোসেনপুর উপজেলার পশুর হাটগুলোর মধ্যে বড় হাট হচ্ছে সিদলা ইউনিয়নের পিতলগঞ্জ বাজার, হোসেনপুর পৌর বাজার, হাজিপুর কাচারী বাজার, হারেঞ্জা, সুরাটি ও চরপুন্দী বাজার। ঈদুল আজহা উপলক্ষেও এসব হাট-বাজারে সাপ্তাহিক বারে পশুর হাট বসে। তারপরও গরু-ছাগল প্রচুর বেচা-বিক্রি হয়। স্থানীয়রা জানান, কোরবানির পশু বেচাকেনা শুরু হবে ঈদের চাঁদ উঠলেই। এবার ভারতীয় গরু-মহিষ না এলে খামারের বড় বড় গরু অথবা দেশীয় ষাঁড় কোরবানি দেয়ার প্রস্তুতি ও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এলাকার মানুষ। এছাড়া গ্রামে পোষা (পালিত) ষাঁড় গরু কোরবানির জন্য প্রাধান্য পাবে সব মানুষের কাছে। ভারতীয় গরু আমদানি না হলে গরু-ছাগলের দাম কিছুটা বেশি হতে পারে। তবে পশু আমদানির ওপর নির্ভর করবে দাম। পশু ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছর শেষের দিকে গরু-ছাগলের দাম পড়ে যাওয়ায় অনেক ব্যবসায়ী ঈদের আগে পশু বিক্রি করতে পারেননি। ফলে ঈদের পর অনেকেই লোকসান দিয়ে গরু-ছাগল বিক্রি করেন। এ দিকে পশুর হাট জমজমাট করতে হাট- বাজারের ইজারাদারদের লোকজন মাইকিং করে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয় লোকজন বলছেন, ঈদের চাঁদ উঠলেই পশুর হাট জমে উঠবে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার স্থানীয় কৃষকদের পোষা (পালিত) গরু ও ষাঁড়ের সংখ্যাও কম নয়। গ্রামের বাড়িতে অনেকেই ২/১টি করে দেশীয় গরু পালন করছেন ঈদের বাজারে বিক্রি করার জন্য। ঈদের বাজারে দেশী গরু ও ষাঁড় আমাদের একমাত্র ভরসা। আর এসব দেশী গরু হবে ক্রেতাদের একমাত্র টার্গেট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন