ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি পাঁচবার বিশ্বকাপ নেয়ার নজির রয়েছে একটি মাত্র দেশের। সেটা হচ্ছে ব্রাজিল। তবে ফুটবলে না হলেও ক্রিকেটের জনপ্রিয় ফ্রাঞ্চাইজি লিগ আইপিএলে পাঁচবার শিরোপা নেয়ার কৃতিত্ব দেখালেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের তারকারা। আইপিএলের সূচনা হয় ২০০৮ সালে। সেই থেকে ১৩ টি বছর ইতোমধ্যে অতিবাহিত করল টুর্নামেন্টটি। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি পাঁচবার শিরোপা নেয়ার কৃতিত্ব দেখাল মুম্বাই।
আইপিএলে সর্বপ্রথম ২০১৩ সালে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স শিরোপা জিতেছিল। এরপর ২০১৫ সালে দ্বিতীয়বারের মত শিরোপা জিতে তারা। এক মৌসুম বিরতি দিয়ে ২০১৭ সালে ফের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয় মুম্বাই। ২০১৭ সালের পর আবারো এক মৌসুম বিরতি দিয়ে ২০১৯ সালে চতুর্থবারের মত চ্যাম্পিয়ন হয় মুম্বাই। এবার আর বিরতি নয়, ২০২০ সালেই পঞ্চম শিরোপাটিও জয় করে নিল তারা।
দিল্লি এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মধ্যকার এই ফাইনালে মুম্বাইয়ের জয়ের সিঁড়ি তৈরি করে দিয়েছিল বোলাররাই। আজ প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ২০ ওভারে মাত্র ১৫৬ রান করে দিল্লি ক্যাপিটালস।
দলের পক্ষে দুজন ব্যাটসম্যানই সম্মানজনক রানের দেখা পায়। দুজনেই করেন অর্ধশতক। শ্রেয়াস আয়ার ৬৫ এবং রিশাব পান্ট ৫৬ রান করেন। বাকিরা সবাই মুম্বাই বোলারদের সামনে রীতিমত অসহায় ছিলেন।
মুম্বাই পেসার ট্রেন্ট বোল্ট ৩টি ও কোল্টার নাইল ২টি উইকেট লাভ করেন। তবে উইকেটশূন্য ছিলে জসপ্রিত বুমরাহ।
১৫৭ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে শুরুতেই ঝড়ের আভাস দেন কুইন্টন ডি কক। তবে মাত্র ১২ বলে ২০ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। ওপেনিং জুটিতে ৪৫ রান আসে মুম্বাইয়ের।
দ্বিতীয় উইকেটে রোহিতের সঙ্গে যোগ দেন সুর্যকুমার যাদব। এই জুটিতেও আসে ঠিক ৪৫ রান। তবে রোহিতের ভুলে যাদবের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। অসম্ভব এক রানের জন্য দৌড় শুরু করেছিলেন রোহিত। রান হবে না জেনে রোহিতকে ফেরানোর চেষ্টা করেন যাদব। কিন্তু তারপরও রোহিত চলে আসায় নিজের উইকেট বিসর্জন দেন যাদব।
যাদবের এই বিষর্জন বৃথা যায়নি। ব্যাট হাতে ঝড় তুলে অর্ধশতক করে ৫১ বলে ৬৮ রান করে আউট হন রোহিত শর্মা।
রোহিতের বিদায়ের পর মাঠে নেমেই ঝড়ো ব্যাটিংয়ের ইঙ্গিত দেন পোলার্ড। কিন্তু ৪ বলে ৯ রান করে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আউট হয়ে ফিরে যান তিনি।
এরপর মাঠে নামেন হার্ডিক। তিনি যোগ দেন রোহিতের সঙ্গে আগে থেকেই ঝড়ো ব্যাটিং করা ইশান কিসানের সঙ্গে। কিন্তু ম্যাচে যখন সমতা তখন ব্যক্তিগত ৩ রান করে হার্ডিক বিদায় নিয়ে এই জুটি ভাঙে।
ম্যাচে যেহেতু তখন সমতা, তখন উইকেটে আর কি আসে যায়। এখানেও সেটাই হল। শেষ পর্যন্ত নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামা ক্রুনাল পান্ডের ব্যাট থেকেই আসে জয়সূচক রানটি। ইশান তখন অপরাজিত আছেন ১৯ বলে ৩৩ রান করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন