পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে ৯ এবং ১০ নম্বর পিলারের উপর ৩৭ নম্বর স্প্যান বসেছে। এর ফলে পদ্মা সেতুর ৫ হাজার ৫৫০ মিটার দৃশ্যমান হলো। চলতি নভেম্বর মাসে আরো ২টি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে সেতু নির্মাণ কর্তৃপক্ষের। আবহাওয়া এবং নদীর প্রকৃতি অনুক‚লে থাকলে প্রতি সপ্তাহে একটি স্প্যান বসানোর মাধ্যমে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে ৪১টি স্প্যান বসবে। যার ফলে দৃশ্যমান হবে পুরো ৬.১৫ কিলোমিটারের পদ্মা সেতু।
জানা যায়, গতকাল সকাল পৌনে ১১টায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ৩ হাজার ৬ শত টন ধারণ ক্ষমতার তিয়ান-ই ভাসমান ক্রেনটি দিয়ে ধূসর রঙ্গের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি নির্দিষ্ট পিলারের নিকট নিয়ে আসা হয়। পরে ৯ এবং ১০ নম্বর পিলারের উপর ৩৭ নম্বর স্প্যানটি বসানোর কাজ শুরু হয়ে পৌনে ৩টায় স্প্যান বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়।
সেতু কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানা যায়, নভেম্বর মাসে ৩৮ এবং ৩৯ তম স্প্যান বসানোর পর বাকি ২টি স্প্যান ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে বসানো হবে। করোনা এবং নদীর তীব্র স্রোতের কারণে ৪ মাস স্প্যান বসানোর কাজ বিঘিœত হলেও এখন দ্রæত গতিতে কাজ এগিয়ে চলছে। গত অক্টোবর থেকে প্রতি সপ্তাহে একটি স্প্যান বসানো হচ্ছে। গত এক মাসে মাওয়া প্রান্তে ৬টি স্প্যান বসানো হয়েছে। আগামী ১৬ নভেম্বর ১ ও ২ নম্বর পিলারের উপর ৩৮ তম স্প্যান, ২৩ নভেম্বর ১০ ও ১১ নম্বর পিলারের উপর ৩৯ তম স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে সেতু নির্মাণ কর্তৃপক্ষের। আগামী ১০ ডিসেম্বর মাঝ নদীতে ৪১ তম শেষ স্প্যানটি বসানো হবে। আর এতে দৃশ্যমান হবে ৬.১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে পদ্মা সেতুর অবকাঠামো। ২০২১ সালে শেষ হবে পুরো নির্মাণ কাজ। আর এতে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নের বাস্তবায়ন আর যাতায়াতে দুর্ভোগের অবসান ঘটবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন