হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আগামী রোববার। হেফাজতের কাউন্সিলকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ২০১০ সালে হেফাজতের আত্মপ্রকাশ। জন্মলগ্ন থেকেই আমীর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রহ.)। গত ১৮ সেপ্টেম্বর তার মৃত্যুর পর পদটি শূন্য হয়ে পড়ে। কে আসছেন শীর্ষ এ পদে। তা নিয়ে চলছে তোড়জোড়। চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসায় হেফাজতের মুলকেন্দ্র। এ কেন্দ্রকে ঘিরে যে কোন আন্দোলনের ডাক হাটহাজারী থেকে দেয়া হয়। কিন্তু বর্তমানে বেশিরভাগ অংশ চাচ্ছে ঢাকায় মূলকেন্দ্র করতে এমনি দাবি নাম প্রকাশে হেফাজতের কয়েকজন নেতার।
দারুল উলুম হাটহাজারী মাদরাসায় হেফাজতের এ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। হেফাজতের প্রায় ৩শ’ ৬০ জন কেন্দ্রীয় শীর্ষ মুরুব্বিরাই ঠিক করবেন কে মরহুম আল্লামা আহমদ শফীর স্থলভিষিক্ত হবেন। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় সম্মেলনকে ঘিরে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। আমীরের পদ নিয়ে তেমন বাড়াবাড়ি না থাকলেও মহাসচিব পদ নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন।
হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আমীর ও দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার সাবেক মহাপরিচালক শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী চলতি বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তারপর থেকে হেফাজতের আমিরের পদটি শূন্য রয়েছে। আগামী রোববার হেফাজতের কেন্দ্রীয় সম্মেলন (কাউন্সিল) উপলক্ষে সারাদেশ থেকে কওমী অঙ্গনের শীর্ষ আলেমরা কাউন্সিলে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
জানা যায়, ২০১০ সালের ১৯ জানুয়ারি গঠিত হয়েছিল চট্টগ্রাম কেন্দ্রীক কওমী আক্বীদাপন্থী অরাজনৈতিক ইসলামী সংগঠন হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ।
যদিও পরে অরাজনৈতিক এ সংগঠনটি রাজনৈতিক ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়। হটহাজারীর দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদরাসার মরহুম প্রধান পরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে আমীর ও তৎকালীন সিনিয়র মুহাদ্দিস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকে মহাসচিব করে হেফাজতের ২২৯ সদস্যের মজলিশে শুরা কমিটি গঠন করা হয়।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, ১৫ নভেম্বর হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ সম্মেলনকে ঘিরে উৎসব মুখর পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে সারা দেশে। গুরুত্বপূর্ণ এ পদে যিনি আমীর নির্বাচিত হবেন তাকে নিয়েই হেফাজতের পুনর্গঠন হবে। হেফাজত ফিরে পাবে পূর্বের সেই প্রাণ। সারাদেশের ৬৪টি জেলা থেকে হেফাজতের শীর্ষ নেতারা সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন। সেখানে তাদের মতামতের ভিত্তিতে আমীর নির্বাচিত করা হবে।
এদিকে, হেফাজতের আমীর পুত্র আনাস মাদানি হেফাজতের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্বে থাকলেও তার কাউন্সিল নিয়ে তেমন ভ‚মিকা দেখা যাচ্ছেনা। কাউন্সিল নিয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি, ক্ষুব্ধ শফী অনুসারীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হেফাজতের নায়েবে আমীর ও যুগ্ম মহাসচিবসহ সিনিয়র দায়িত্বশীল পর্যায়ের অনেকেই দাবি করেন আল্লামা শাহ আহমদ শফী হুজুরের হেফাজতকে ছিনতায় করা হচ্ছে। তার অনুসারীদের হেফাজত থেকে মাইনাস করতে চেষ্টা করছে। কিন্তু ক্ষণিকের এ মহোৎসব বেশিদিন ঠিকবে না। হেফাজত হবে তৌহিদি জনতার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন