রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেলাধুলা

করোনাকালে যেন জেগে উঠেছিল বঙ্গবন্ধু

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ নভেম্বর, ২০২০, ৮:০৯ পিএম

বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যকার মুজিববর্ষ ফিফা আন্তর্জাতিক ফুটবল সিরিজকে উপলক্ষ করে করোনাকালে যেন জেগে উঠেছিল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম! শুক্রবার বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচে স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে দর্শক উপস্থিতি সেটাই প্রমাণ করে। নেপালের বিপক্ষে ফিফা আন্তর্জাতিক দুই প্রীতি ম্যাচের সিরিজ দিয়ে প্রায় দশ মাস পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরেছে বাংলাদেশ জাতীয় দল। আর এ ম্যাচ উপলক্ষ্যে দেয়া হয়েছে মাঠে দর্শক প্রবেশের অনুমতি। বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যকার মুজিববর্ষ ফিফা আন্তর্জাতিক ফুটবল সিরিজে মোট ধারণক্ষমতার এক-তৃতীয়াংশ সংখ্যক দর্শককে স্টেডিয়ামে প্রবেশের সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। এই সুযোগ শতভাগ কাজে লাগিয়েছেন দর্শকরা। প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস আতঙ্ক মেনে নিয়েই হাজার হাজার দর্শক কাল উপস্থিত হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। ম্যাচ শুরুর সময় নিধারণ ছিল বিকেল ৫টা। কিন্তু বেলা ৩টার আগেই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের চত্বরে শুরু হয় দর্শকদের ভিড়। সময় যতই গড়িয়েছে ভিড়ও তত বেড়েছে। হাজারো দর্শকের আনাগোনায় উৎসবমুখর পরিবেশ দেখা গেছে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম এলাকায়। সবার উদ্দেশ্য ছিল একটাই- খেলা দেখার জন্য স্টেডিয়ামে প্রবেশের টিকিট সংগ্রহকরা।

করোনাকালীন বিধিনিষেধের কারণে প্রায় ২৫ হাজারের বদলে বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচে টিকিট ছাড়া হয়েছিল ৮ হাজার। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দর্শক আসন তৈরী করতেই বাফুফে এমন উদ্যোগ। তাই ফুটবলপ্রেমী দর্শকদের মনে ভয় ছিল টিকিট সংগ্রহ নিয়ে। কার আগে কে টিকিট সংগ্রহ করবেন তার প্রতিযোগিতাই যেন হয়েছে। করোনা আতঙ্কের মধ্যেই সব ভয় উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বসেছে ফুটবল উৎসব। যে কারণে ম্যাচ শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করা শুরু করেন দর্শকরা। বাফুফের বেধে দেয়া নিয়মের কারণে সবার মুখেই ছিল মাস্ক, গেটে প্রবেশ মুখেও মানতে হয়েছে শারীরিক দুরত্ব। অথচ দশ মাস আগে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ম্যাচে এসব মানতে হয়নি দর্শকদের। করোনাকালীন এসব নিয়ম মানতে হলেও কোনো বিরক্তির ছাপ ছিল না দর্শকদের মাঝে, সবাইকেই দেখা গেছে বেশ উৎফুল্ল। তারা স্টেডিয়ামে প্রবেশের লাল সবুজের পতাকা হাতে ‘বাংলাদেশ’ ‘বাংলাদেশ’ স্লোগানে মাতিয়ে তুলেন গ্যালারি। অনেকেই লাল সবুজের জার্সি পড়ে এসেছেন। করোনাভাইরাসের প্রভাবও তাদের দমাতে পারেনি। গ্যালারি বাইরেও দর্শকের উম্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। ১০০ টাকার গ্যালারি মূল্যের টিকিট বিক্রি হয়েছে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। সার্থক হয়েছে দর্শকদের ফুটবলপ্রেম। শেষ পর্যন্ত তারা করোনা ঝুঁকি নিয়ে স্টেডিয়ামে এসে প্রিয় দেশের খেলা মন ভরে উপভোগ করে দারুন এক জয় নিয়েই ঘরে ফিরলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন