লালমনিরহাটের বুড়িমারীতে গণপিটুনি দিয়ে শহিদুন্নবী জুয়েলকে হত্যার পর লাশ পোড়ানোর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হেলাল উদ্দিনের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল দুপুরে আমলী আদালত ৩ এর বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফেরদৌসী বেগম এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
হেলাল উদ্দিন পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের উফারমারা গুড়িয়াটারী গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি জুয়েল হত্যা ও পুলিশের ওপর হামলা দুই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
এর আগে গত রোববার বিকেলে তাকে আদালতে সোপর্দ করে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক মাহমুদুন্নবী। আমলী আদালত ৩ এর বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফেরদৌসী বেগম গতকাল শুনানির দিন ধার্য করেন। গতকাল আসামি হেলাল উদ্দিনের উপস্থিতিতে রিমান্ডের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আলোচিত জুয়েল হত্যার রহস্য উদঘাটনে আসামিদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এ নিয়ে আলোচিত এই তিন মামলায় পুলিশ ৩৪ জনকে গ্রেফতার করে। এর মধ্যে ১২ জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এরই মধ্যে মূলহোতা বুড়িমারী ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি আবুল হোসেন ওরফে হোসেন ডেকোরেটর এবং মসজিদের খাদেম জোবেদ আলীসহ ৪ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানান জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) ওসি ওমর ফারুক।
গত ২৯ অক্টোবর লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী কেন্দ্রীয় বাজার জামে মসজিদে ধর্ম অবমাননার দায়ে জুয়েল ও তার সঙ্গী একই এলাকার সুলতান রুবায়াত সুমনকে গনপিটুনি দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে আটকিয়ে রাখেন স্থানীয়রা। পরে রাতে ইউপি ভবন ভেঙে প্রশাসনের উপস্থিতিতে জুয়েলকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ আগুনে পুড়িয়ে ছাই করে স্থানীয়রা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন