স্পোর্টস রিপোর্টার : ঘরোয়া ফুটবলের মর্যাদাপূর্ণ আসর জেবি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে হারের চাকা সচল রেখেছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। আসরের চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ পর্ব শেষে ঢাকা পর্বের শুরুতেও লজ্জা পেয়েছে দু’মৌসুম আগের ট্রেবলজয়ীরা। গতকাল বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে লিগের ষষ্ঠ রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র ২-০ গোলে হারায় শেখ রাসেলকে। এই জয়ে ছয় ম্যাচে তিন জয় ও তিন ড্র’তে ১২ পয়েন্ট পেয়ে তালিকার শীর্ষে উঠে আসলো মুক্তিযোদ্ধা। সমান ম্যাচে এক ড্র ও পাঁচ হারে মাত্র ১ পয়েন্ট নিয়ে শেখ রাসেলের অবস্থান তলানীতে।
কাল ম্যাচের শুরু থেকেই মুক্তিযোদ্ধার দাপট লক্ষ্য করা গেছে। তারা একের পর এক আক্রমণ করেছে রাসেল রক্ষণদূর্গে। যা থেকে দু’বার সাফল্যও পেয়েছে। বিপরীতে শেখ রাসেলের খেলায় ছিলো তেমন ধার। পুরো ম্যাচে রাসেল খেলোয়াড়দের সম্বন্বয়হীনতা, লড়াকু মানসিকতার অভাব ও রক্ষণভাগের দূর্বলতা প্রকটভাবে চোখে পড়েছে। ম্যাচে তিনজন বিদেশি ফুটবলার মাঠে নামানোর সুযোগ থাকলেও এদিন কোন বিদেশিকে খেলাননি রাসেল কোচ মারুফুল হক। বিদেশিরা ইনজুরিতে, নাকি দলীয় কোন্দলের কারণে তাদের মাঠে নামানো হয়নি, ম্যাচ শেষে এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি শেখ রাসেলের কোন কর্মকর্তা। ম্যাচের ১১ মিনিটে এগিয়ে যায় অলরেডরা। এসময় ডানপ্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন মুক্তির ফরোয়ার্ড তৌহিদুল আলম। প্রতিপক্ষের ডি-বক্সের কাছাকাছি এসে তিনি বামপায়ের শট নেন। তার শট রাসেল ডিফেন্ডার মিন্টু শেখ প্রতিহত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। তার পায়ে লেগেই বল আশ্রয় নেয় শেখ রাসেলের জালে (১-০)। পিছিয়ে পড়ে সমতা আনার চেষ্টা করা তো দূরে কথা, উল্টো আরো এক গোল হজম করে শেখ রাসেল। ম্যাচের ২৬ মিনিটে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগের ভুলে ব্যবধান বাড়ায় মুক্তিযোদ্ধা। এসময় মুক্তির ডিফেন্ডার মনজুরুর রহমান মানিক মাঝশাঠ থেকে ফরোয়ার্ড জাভেদ খানের উদ্দেশ্যে উড়িয়ে দেন একটি লং বল। রাসেল ডিফেন্ডার নাহিদুল ইসলাম জাভেদকে বাধা দিতে গিয়েও ব্যর্থ হন। তাকে ফাকি দিয়ে জাভেদ বক্সের ডানপ্রান্ত থেকে কোণাকুণি শটে মুক্তির পক্ষে দ্বিতীয় গোল করেন (২-০)। ৫৮ মিনিটে তৃতীয় গোল হজমের হাত থেকে বেঁচে যায় শেখ রাসেল। মাঝমাঠ থেকে মিডফিল্ডার সোহেল রানার থ্রু পাস থেকে বল পেয়ে মুক্তির নাইজেয়িযান ফরোয়ার্ড আহমেদ কোলো মুসা কোণাকুণি শটে পরাস্ত করেন রাসেল গোলরক্ষক জিয়াউর রহমানকে। কিন্তু মুসার শট ক্রসবারে লেগে বাইরে চলে যায়। ফলে গোলবঞ্চিত হয় মুক্তিযোদ্ধা। ম্যাচের বাকি সময় আক্রমণের ধারা অব্যহত রাখলেও ব্যবধান আর বাড়াতে পারেনি মুক্তিযোদ্ধা। ফলে শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।
একই ভেন্যুতে সন্ধ্যার ম্যাচে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ৩-২ গোলে হারায় টিম বিজেএমসিকে। এই জয়ে শেখ জামাল ছয় ম্যাচে ১২ পয়েন্ট পেলেও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় তালিকার দ্বিতীয়স্থানে রইলো। সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে বিজেএমসির অবস্থান নবমস্থানে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন