শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেলাধুলা

ফাইনালে ব্রাজিলের জার্মান বাধা

প্রকাশের সময় : ১৯ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : সেমিফাইনালে এসে সুইডেন বাধায় থেমে গেছে ব্রাজিল নারী ফুটবল দলের অলিম্পিক যাত্রা। অলিম্পিক ফুটবলে তারাও কখনো জেতেনি স্বর্ণ পদক। ব্রাজিলের ২০০ মিলিয়ন জনগণ এখন তাই চেয়ে আছে নেইমারদের দিকে। পরশু রাতে হন্ডুরাসকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে প্রিয় সমর্থকদের সেই চাওয়া পূরনের একটা জোর বার্তাও দিয়ে রেখেছে তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নেইমারের দল পারবে তো অলিম্পিকের সেই অধরা স্বর্ণ পদকটি দখলে নিতে?
অলিম্পিকের সেই অধরা স্বপ্নটি বাস্তব থেকে আর মাত্র এক হাত দূরত্বে। তবুও শংশয় থেকেই যায়। সেই সংশয়ের বড় কারণ হতে পারে ‘জার্মানি’ নামটি। রিও অলিম্পিকের ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ সেই জার্মানি, যে জার্মানি ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে স্বাগতিক ব্রাজিলকে দিয়েছিল ৭-১ গোলের লজ্জা। সেই লজ্জা কি এখনো ভুলতে পেরেছে সেলেসাওরা?
ঘরের মাঠ হওয়ায় স্নায়ুচাপের এই লড়াইয়ে হয়তো জিতে যাবে নেইমারা, কিন্তু মাঠের নৈপূণ্যে তো পিছিয়ে নেই জার্মানরাও। ৫ ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে এ পর্যন্ত ২১ বার বল পাঠিয়েছে তারা, যেখানে ১২ বার পাঠিয়েছে ব্রাজিল। সেমিফাইনালে নাইজেরিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে প্রায় অর্ধ শতকের অলিম্পিক স্বর্ণ খরা মেটাতে জার্মানরাও বদ্ধ পরিকর।
গেলবার সেলেসাওরা থেমেছিল ফাইনালে এসেই। ফেভারিট হয়েও মেক্সিকোর কাছে হেরে শেষ পর্যন্ত রৌপ্য নিয়েই খুশি হতে হয়েছিল নেইমারদের। কিন্তু যে দলটির নামের পাশে রেকর্ড ৫-পাঁচটি বিশ্বকাপ শিরোপা তাদের কি আর রৌপ্যে মন ভরে? এবার তাই বেশ আটঘাট বেঁধেই অভিযানে নেমেছে তারা। শুরুর দুই ম্যাচের সেই ড্রয়ের ধাক্কা কাটিয়ে নেইমারের সাথে ধীরে ধীরে দলও ফিরেছে ছন্দে। আগের চার ম্যাচে ৬ গোল করা ব্রাজিল এদিন হন্ডুরাসের জালে একে একে বল ঢুকালো ৬ বার। দুটি করে গোল ও গোলে সহায়তা নেইমারের। গ্যাব্রিয়েল জেসুসও জোড়া গোল করে ফাইনালে জ্বলে ওঠার একটা বার্তাই যেন দিয়ে রাখলেন। একটি করে গোলের দেখা পাওয়া মারকুইনিয়োস ও লুয়ানরাও চাইবে এই ফর্ম ফাইনালে ধরে রাখতে।
কাল মারাকানায় স্বাগতিকদের সবচেয়ে বড় ভরসা হয়ে থাকবেন নেইমারই। হন্ডুরাসের জালে এদিন চতুর্দশ সেকেন্ডেই বল জড়ান বার্সেলোনা তারকা। অলিম্পিকে যা দ্রæততম গোলের রেকর্ড। ম্যাচ শেষে কোচ রোজারিও মিকালের কন্ঠেও নেইমার স্তুতি, ‘নেইমার হল একটা দৈত্য। সে ফুটবলের একটা উপহার এবং সবাই-ই তার এই প্রতিভায় আনন্দিত।’ ফাইনাল ম্যাচ সম্পর্কে মিকালে বলেন, ‘লড়াইয়ে কোন প্রকার ঘাটতি থাকবে না আমাদের। শুরু থেকেই ম্যাচটি নিয়ন্ত্রনে নেওয়ার দিকে মন দেব আমরা।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন