দুই দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন যুবদল পল্টন থানার যুগ্ম আহবায়ক লিয়ন হক। মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। তার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার দুপুর থেকে লিয়নকে পাওয়া যাচ্ছে না। তার সহকর্মী ও পরিবারের সদস্যরা থানা সহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়েও এখনও পর্যন্ত তার কোন সন্ধান পাননি। তার সহকর্মীরা জানিয়েছেন-যুবদলের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার মিছিলের পর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এ নিয়ে তার পরিবার ও সংগঠনের নেতাকর্মীরা গভীর উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় রয়েছেন।
তিনি বলেন, এখন বিরোধী নেতাকর্মীদেরকে আটকের পর অস্বীকার করার বিষয়টি বর্তমান সরকারের আমলে সংঘটিত গুমেরই ধারাবাহিকতা হিসেবেই ধরে নিচ্ছে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।
প্রিন্স বলেন, এর আগেও গত ১২ নভেম্বর ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান এবং হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান নিখোঁজ হবার পরও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদেরকে আটকের বিষয়টি অস্বীকার করে। পরবর্তীতে ৪/৫ দিন অজ্ঞাত স্থানে আটক রাখার পর তাদেরকে থানায় হস্তান্তর করা হয়। মঙ্গলবার যুবদল খিলগাঁও থানা শাখার সভাপতি আবুল হাসনাত অনুকে সাদা পোশাকধারী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আটক করে নিয়ে যাবার পর থেকে তারও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এর ৮ ঘন্টা পর অনুকে গতরাতে পল্টন থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বিএনপির এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, লিয়ন হকের সহকর্মী ও পরিবারের বদ্ধমূল ধারণা-তাকেও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আটক করে গোপন রাখছে। আমরা আশা করি অবিলম্বে লিয়ন হককে জনসম্মুখে হাজির করা হবে। অন্যত্থায় তার অনাকাক্সিক্ষত কিছু হলে কোনভাবেই এর দায় এড়াতে পারবে না সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন