চট্টগ্রাম-হাটহাজারী সড়কের সুলতান নসরত শাহ জামে মসজিদের সামনে উত্তর-দক্ষিণে অন্তত ৫০০ ফুট এলাকায় সড়ক বিভাজক বা রোড ডিভাইডার না থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। অত্যন্ত দুর্ঘটনাপ্রবণ ওই এলাকায় গত পাঁচদিনের ব্যবধানে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। সড়কে বিভাজক নির্মাণের দাবিতে গত সোমবার সকালে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা।
কিন্তু ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে একই জায়গায় বাস চাপায় নিহত হন এক বৃদ্ধ। নিহত হাজী মুছা সওদাগরের গ্রামের বাড়ি হাটহাজারী উপজেলার উত্তর মাদাশায়। এর আগে গত গত শুক্রবার সন্ধ্যায় একই স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান স্থানীয় তাজু মিয়া সওদাগর বাড়ির ইলিয়াসের ছেলে দিদার আলম ভুলু। মসজিদের সামনে রোড অতিক্রম করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় শিকার হন তিনি।
এদিকে গতকাল ফজরের নামাজ পড়ে প্রতিদিনের মতো চট্টগ্রাম-হাটহাজারী সড়কে হাঁটতে বের হয়েছিলেন মুছা সওদাগর। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সড়ক পার করার হওয়ার সময় চট্টগ্রাম শহর অভিমুখী একটি বাস তাকে চাপা দিয়ে অন্তত ৪০ ফুট দূরে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মুছার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় জনতা চট্টগ্রাম-হাটহাজারী সড়কে ব্যারিকেড দেয় সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত প্রায় দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার আহমেদ বলেন, বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন