শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সুপারভাইজারের কাছে জিম্মি সবাই

নীলফামারী জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২০ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় একাডেমিক সুপার ভাইজার হাবিবুল্লাহ ইএমআইএস এর পাসওয়ার্ড নিজে সংরক্ষণ করে উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জিম্মি করে রেখেছেন।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সূত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার হাবিবুল্লাহ ২০২০ সালের মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) নতুন করে সার্ভার উন্নয়ন করে সার্বজনীন ভাবে একটি পাসওয়ার্ড তৈরী করে। সেই পাসওয়ার্ড নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে নিজে সংরক্ষণ করে ব্যবহার করবেন। কিন্তু সেই পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করার আগে একাডেমিক সুপার ভাইজার হাবিবুল্লাহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে নিজের কাছে সংরক্ষণে রাখেন।

কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নতুন করে মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার (এমপিও) ভুক্ত শিক্ষক কর্মচারী অথবা টাইম স্কেলের জন্য ফাইল প্রেরণের কাজ তিনি নিজেই বাগিয়ে নিয়ে নেন এবং এর মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন। আবার কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ফাইল প্রেরণ করলে একাডেমিক সুপার ভাইজার ফাইল প্রেরণের বিভিন্ন ভুল বের করে তা আটকিয়ে দেন। আবার সেই ফাইল তিনি একই ভাবে প্রেরণ করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কিশোরীগঞ্জ বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের দু’জন শিক্ষকের টাইম স্কেল ফাইল পাঠানোর জন্য ৫ হাজার টাকা নেন এবং আরও টাকা দাবি করেন। মুশরুত পানিয়াল পুকুুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকার উচ্চতর স্কেলের ফাইল প্রেরণের জন্য ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে ২ হাজার টাকা নেন এবং ওই শিক্ষিকাকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করে ফাইল প্রেরণ করেন। সেই ফাইল প্রেরণ করা হলে কয়েকদিনের মাথায় আবার ফাইল ফেরত পাঠান মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস।

এ ব্যাপারে উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার হাবিবুল্লাহ বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠানের আইসিটি শিক্ষকই অনলাইনের মাধ্যমে এমপিওর ফাইল প্রেরণ করতে পারেন না। তারা আমাকে ফাইল প্রেরণের জন্য আমার পারিশ্রমিক বাবদ খুশি হয়ে কিছু টাকা দিয়ে থাকেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ টি এম নূরুল আমিন শাহ্ বলেন, তিনি উপজেলার কোন প্রতিষ্ঠানের পাসওয়ার্ড নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তবে কিছু প্রতিষ্ঠান প্রধান তাদের ফাইল পাঠানোর জন্য দোকানে কাজ করে থাকেন।

আর তাদের পাসওয়ার্ড যেন ব্যবসায়ীদের কাছে না থাকে তাদের পাসওয়ার্ড একাডেমিক সুপার পরিবর্তন করে দিয়ে দেন। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সফিকুল ইসলাম বলেন, এ রকম হলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন