শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপে প্রযুক্তির ছোঁয়া

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

আম্পায়ারিং নিয়ে খেলোয়াড়দের ক্ষোভ নতুন কিছু নয়। তাদের ছোট ছোট ভুল অনেক সময় গড়ে দেয় বড় পার্থক্য। সেই ভুল সংশোধনের কাজ করতে ক্রিকেট এখন প্রযুক্তি নির্ভর। প্রথমবারের মত দেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে বড় পরিসরে আজ থেকে মাঠে গড়াতে যাওয়া বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপে থাকছে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম বা ডিআরএসসহ আধুনিক ক্রিকেটের প্রায় সকল প্রযুক্তি।
শুধু ডিআরএসই নয়, থাকছে আরও কিছু অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া। করোনার কারণে মাঠে দর্শকদের প্রবেশাধিকার না থাকায় দর্শকদের খেলা উপভোগ করতে হবে টিভি পর্দায়। তাদের খেলা দেখা উপভোগ্য করে তুলবে ড্রোনের ব্যবহার। ড্রোন থাকলেও থাকছে না স্পাইডার ক্যামেরার ব্যবহার। তবে উইকেটে ব্যবহৃত হবে এলইডি স্ট্যাম্প । বল উইকেটে আঘাত হানলেই জ্বলে উঠবে স্ট্যাম্পগুলো। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে প্রোডাকশনের দায়িত্ব পেয়েছে রিয়েল ইমপ্যাক্ট। অনেকটা বিপিএলের আদলে সর্বাধিক সংখ্যক ক্যমেরা দিয়ে চলবে স¤প্রচার কার্যক্রম। পাশাপাশি গ্রাফিক্স ও স্কোরকার্ডেও নতুনত্ব আনার জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে দেয়া হয়েছে নির্দেশনা। প্রসঙ্গত, বেক্সিমকো ঢাকা ও মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে ২৪ ডিসেম্বর পর্দা উঠবে প্রতিযোগিতাটির। প্রতিটি ম্যাচ ডেতে অনুষ্ঠিত হবে দুটি করে ম্যাচ। আসরের সবগুলো ম্যাচই আয়োজিত হবে শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ১৮ ডিসেম্বর ফাইনলা ম্যাচের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে প্রতিযোগিতার।
করোনামুক্ত সালাহ
স্পোর্টস ডেস্ক : দেশের হয়ে খেলতে গিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন লিভারপুলের মিশরীয় তারকা মোহামেদ সালাহ। তবে অবশেষে এ ভাইরাস থেকে মুক্তি মিলেছে তার। সবশেষ পিসিআর টেস্টে তার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে বলেই জানিয়েছেন লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ।
আগের দিন সালাহকে ছাড়াই প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে লেস্টার সিটির বিপক্ষে ৩-০ গোলের বড় জয় পেয়েছে লিভারপুল। ম্যাচ শেষেই সংবাদ সম্মেলনে সালাহর কোভিড-১৯ পরীক্ষায় নেগেটিভ আসার কথা জানান ক্লপ, ‘আমি শুনেছি আজ তার (সালাহ) ফলাফল নেগেটিভ এসেছে।’
করোনা মুক্ত হওয়ায় গতকাল থেকেই দলের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দিয়ছেন সালাহ। আগামীকাল রাতে ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে ইতালিয়ান ক্লাব আতালান্তার মোকাবেলা করবে দলটি। তবে সে ম্যাচে নামার আগে আজ ফের আরও একবার উয়েফার অধীনে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করানো হবে এ মিশরীয় তারকার। প্রিমিয়ার লিগের জন্য পরের দুই দিনে আরও দুটি পরীক্ষা হবে।


তারুণ্যই শক্তি বেক্সিমকো ঢাকার
স্পোর্টস রিপোর্টার : প্লেয়ার্স ড্রাফটে সবার আগে কাউকে বেছে নেওয়ার সুযোগ ছিল বেক্সিমকো ঢাকার। কিন্তু আগ্রহের শীর্ষে থাকা সাকিব আল হাসানকে নেয়নি তারা। মুশফিকুর রহিমকে নেওয়ার পর তরুণ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে টেনে নেয় কর্পোরেট হাউসটি। দল তৈরি করতে বিসিবির বেঁধে দেওয়া বাজেটের চেয়েও ৬ লাখ টাকা কম লেগেছে তাদের। কিন্তু দল হিসেবে তাদের দুর্বলের কাতারে নয়, সেরা না হলেও তাদের রাখতে হবে সেরাদের সঙ্গেই।

জাতীয় দলের তারকা
সব সংস্করণে নিয়মিত জাতীয় দলে খেলেন এমন তারকাদের মধ্যে কেবল মুশফিকুর রহিম ও রুবেল হোসেন আছেন এই দলে। আছেনকেবল টি-টোয়েন্টিতে সুযোগ পাওয়া নাঈম শেখ। জাতীয় দলের স্কোয়াডে ডাক পেলেও অভিষেক না হওয়া ইয়াসির আলি রাব্বি, নাসুম আহমেদরাও থাকছেন এই ক্যাটাগরিতে।

উঠতি তারকা
ঢাকার স্কোয়াডে উঠতি তারকার ছড়াছড়ি। এখানে একজন কাউকে বেছে নিতে হলে সেই তকমা পাবেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। রোমাঞ্চকর এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান যুব বিশ্বকাপ থেকেই সবার নজরে। ভয়ডরহীন মানসিকতায় তিনি হতে পারেন এই আসরে সেরা উদীয়মান ক্রিকেটার।

শক্তি-দুর্বলতা
ঢাকার মূল শক্তি তাদের তারুণ্য নির্ভর স্কোয়াড। ওপেনিংয়ে দুই বাঁহাতি নাঈম শেখ, তানজিদ দুজনেরই বয়স অল্প। টপ অর্ডারে ইয়াসির আলি রাব্বির অনেকদিনের ঘরোয়া ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা থাকলেও বয়সের দিক থেকে তিনিও কেবল ২৪। অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে মিডল অর্ডারে আছেন শাহাদাত হোসেন দিপু আর আকবর আলি। আকবর নিজেও কিপার ব্যাটসম্যান হওয়ায় চাইলে মুশফিক কিছুটা ভারমুক্ত হতে পারেন।
তবে তারুণ্য যেখানে শক্তি সেখানেই আছে দুর্বলতা। এই তরুণরা স্নায়ুচাপ ধরে রেখে নিজেদের সামর্থ্য চেনাতে পারলে ঢাকার চাকা ছুটবে দুরন্ত গতিতে। কিন্তু তারা যদি বড় মঞ্চের চাপে হয়ে যান কাবু, তবে হীতে বিপরীত দশা হতে পারে খালেদ মাহমুদের শিষ্যদের।

ঘরোয়া পারফর্মার
এখানেও একটা ঘাটতি রয়ে যাচ্ছে। ঘরোয়া পারফর্মারদের মধ্যে সাব্বির রহমান আছেন। তিনি অনেকদিন ধরেই নিজেকে হারিয়ে দিশেহারা। তার উপর ভরসা হয়ত এখন এই সময়ে কেউই করবে না। ফিটনেস নিয়ে খেটে অনেকটা ঝরঝরে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান পিনাক ঘোষ। বড় শট খেলতে পারেন তবে তারও আছে ধারাবাহিকতার অভাব। টপ অর্ডারে যোগ্য বিকল্প তিনি হতে পারবেন কীনা, সেই প্রশ্ন আছে। এখানে রবিউল ইসলাম রবি হতে পারেন বেশ কার্যকর ক্রিকেটার।
রুবেল হোসেনকে আলাদা করে রাখলে ঢাকার পেস আক্রমণ গড়পড়তা। আবু হায়দার রনির সঙ্গে আছেন শফিকুল ইসলাম আর মেহেদী হাসান রানা। রানা-রনি একই ধরণের বোলার। দুজনেই বাঁহাতি। সর্বশেষ বিপিএলে রানা বেশ ভাল করেছিলেন, সেই রেশ থেকেই হয়ত ঢাকা তাকে নিয়েছে। শফিকুল ইসলাম অনেকটা বুদ্ধিদীপ্ত বোলার। গতি বৈচিত্র্যই তার মূল অস্ত্র। এখানে তাই রুবেলকেই নিতে হবে বড় ভূমিকা।

এক্স-ফ্যাক্টর
বেক্সিমকো ঢাকার সেরা তারকা নিঃসন্দেহে মুশফিকুর রহিম। তবে এক্স-ফ্যাক্টর হয়ে যেতে পারেন উদীয়মান ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম।

প্রত্যাশা-লক্ষ্য
দলের প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদের মতে, কিছু ক্রিকেটারদের ঘাটতি আছে তাদের। তবে তরুণদের উপর ভরসা রেখেই রোমাঞ্চকর কিছুর প্রত্যাশা তাদের, ‘খুবই তরুণ দল। অভিজ্ঞ বলতে মুশফিক আছে, রুবেল (হোসেন) আছে, আরও দু-একজন। কিন্তু এমনিতে তরুণ দল। ড্রাফটে লটারিতে প্রথম হওয়ায় শুরুতে ডাকতে পারলেও পরে আবার ডাকতে হয় সবার শেষে। এতে মাঝখানে অনেক ক্রিকেটার অন্য দলে চলে যায় বলে কিছু অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আমরা পাইনি। তবে যারা আছে, তারাও ভালো ক্রিকেটার। তরুণ যারা আছে, ওরা রোমাঞ্চকর।’

বেক্সিমকো ঢাকা স্কোয়াড : মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক), রুবেল হোসেন, তানজিদ হাসান তামিম, নাসুম আহমেদ, নাঈম শেখ, নাঈম হাসান, শাহাদাত হোসেন দিপু, আকবর আলি, ইয়াসির আলি রাব্বি, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান রানা, মুক্তার আলি, শফিকুল ইসলাম, আবু হায়দার রনি, পিনাক ঘোষ, রবিউল ইসলাম রবি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন