বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

মাদারীপুরে স্কুলছাত্রী ধর্ষিত

মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৫ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

ধর্ষণের শিকার ৭ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে গত সোমবার রাতে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হওয়ার পর বখাটে পলাতক রয়েছে। দু’দিন আটকে রেখে ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে বিষ্ণু কীর্তনিয়া নামে এক বখাটের বিরুদ্ধে। বিষ্ণু কীর্তনিয়া রাজৈর উপজেলার আমগ্রাম উত্তরপাড়া এলাকার কৃষ্ণ কীর্ত্তনীয়ার ছেলে।


পুলিশ ও নির্যাতনের শিকার ওই স্কুলছাত্রীর স্বজনরা গতকাল বিকেলে সাংবাদিকদের জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতের খাবার খেয়ে বাড়ির উঠানের টিউবওয়েলে হাত ধুতে যায় ৭ম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী। এসময় ওঁৎ পেতে থাকা রাজৈর উপজেলার আমগ্রাম উত্তরপাড়ার কৃষ্ণ কীর্ত্তনীয়ার ছেলে বিষ্ণু কীর্ত্তনীয়া তার বন্ধুর সহযোগিতায় ওই শিক্ষার্থীকে গামছা দিয়ে মুখ ও হাত বেঁধে মোটরসাইকেলে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে দুইদিন আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে কৌশলে পালিয়ে গত রোববার ওই স্কুলছাত্রী বাড়ি ফিরে এসে ঘটনাটি পরিবারকে জানায়। গত রোববার রাতে বিষ্ণু কীর্ত্তনীয়াকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ওই স্কুলছাত্রীর বাবা। মামলা হওয়ার পরে গত সোমবার ওই স্কুলছাত্রীকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আবু সফর হাওলাদার বলেন, রাতে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আমরা তাকে সব ধরণের চিকিৎসা দিয়েছি। ওই কিশোরী আপতত সুস্থ আছে। আমাদের গাইনি কনসালটেন্ট ওই কিশোরীর ধর্ষণের আলামত সংগ্রহ করেছে।

ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর মা বলেন, আমার মেয়েকে বিষ্ণু প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো। বার বার নিষেধ করার পরেও আমার মেয়েকে বিরক্ত করেই যাচ্ছিল। এলাকায় মাদবরদের কাছে বিষয়টি একাধিকবার বলেছি, কিন্তু কোন লাভ হয়নি। আমার মেয়েটার যে এত বড় ক্ষতি করলো আমি ওর বিচার চাই।

অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে বিষ্ণু কৃর্ত্তনীয়ার বাবা কৃষ্ণ কীর্ত্তনীয়া বলেন, আমার ছেলের সাথে ওই মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই মেয়েকে আমার ছেলে তুলে নেয়নি। সে নিজ ইচ্ছায় আমার ছেলের সাথে চলে যায়। পরে মিথ্যে অভিযোগ দিয়ে আমার ছেলেকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।

মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ওই স্কুলছাত্রীর মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। অভিযুক্ত ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে। তাকে ধরতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন