লোহাগাড়ার আভ্যন্তরীণ সড়কগুলো অতিরিক্ত ইট বোঝাই গাড়ির অত্যাচারে বেহাল হয়ে পড়ছে। দরবেশহাট ডিসি সড়ক, চরম্বা রাবার ড্যাম সড়ক, পদুয়া ধলিবিলা সড়ক ও পদুয়া বার আউলিয়াসহ গ্রামীণ সড়কগুলো প্রতিনিয়ত অত্যাচারের শিকার হচ্ছে। সড়কগুলোর ধারণ ক্ষমতা ৫ টন হলেও দৈত্যাকার খালি ট্রাকের ওজনই রয়েছে ১০ টন। তার উপর ৩০ টন ওজনের ইট। সব মিলিয়ে ৪০ টন ওজন বহন করে সড়কগুলো দিয়ে প্রতিদিন শত শত ইটের ট্রাক চলাচল করছে। অতিরিক্ত ভার বোঝাই ট্রাকগাড়ি চলাচলের কারণে সড়কগুলো মেরামত করতে না করতেই আবার ভেঙে যায়। কোথাও দেবে যায়, কোথাও গর্ত হয়ে যায়। শুস্ক মৌসুমে এসব সড়ক দিয়ে কোন মতে যাতায়াত করা গেলেও বর্ষায় সম্পূর্ণ চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়ে। ইটের ট্রাকের অত্যাচার হতে সড়কগুলো রক্ষার জন্য এলাকাবাসী কয়েক দফা মানববন্ধন ও প্রশাসনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেও কোন সুফল পাচ্ছে না। কিন্তু ইটের ট্রাক চলাচল বন্ধ হয়নি।
জানা গেছে, লোহাগাড়ায় প্রায় ৬০টির অধিক ইটভাটা রয়েছে। সবগুলোই প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে গড়ে তোলা হয়েছে। যার কারণে এসব গ্রাম থেকে গাড়িগুলো ইট বোঝাই করে নিয়ে আসে এসব সড়ক দিয়ে। ইট পোড়ানোর মৌসুম শুরু হতে না হতেই ইতিমধ্যে ইটবাহী ট্রাকগুলো গ্রামের কাচা পাকা সড়কের উপর লাগাতার আত্যাচার শুরু করে দিয়েছে। সড়কগুলো দিয়ে এতবেশী ইটবোঝাই গাড়ি চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে যে, দুটি বিপরীতমুখী প্রায় ইট বোঝাই গাড়ি একটিকে অন্যটি সাইড দিতে গিয়ে সড়ক ছোট হওয়ার কারণে সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি কখনও কখনও সারাদিনের জন্যও সড়কে ইটের ট্রাক আটকা পড়ে। জনভোগান্তি চরমে পৌঁছে।
স্থানীয়রা জানান, সড়কগুলো দিয়ে ৫ টনের অধিক মালবোঝাই যান চলাচল সরকারিভাবে নিষেধ রয়েছে। অথচ বর্তমানে ৪০ টন মালবোঝাই ট্রাক চলাচল করছে। আমরা বিষয়টি বিভিন্নভাবে প্রশাসনের নজরে দেবার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সড়কগুলো রক্ষায় কারো সহায়তা পাচ্ছি না।
লোহাগাড়া ট্রাফিক জোনের ইন্সপেক্টর স্নেহাংশু বিকাশ সরকার জানান, এ ব্যাপারে আমাদের জানা ছিলো না। শিগগিরই গ্রামীণ সড়কে অতিরিক্ত মালবাহী গাড়িগুলোর বিরোদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন