শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

সাকিবের ফেরার ম্যাচে নায়ক আরিফুল

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ নভেম্বর, ২০২০, ১১:৫৩ পিএম

ম্যাচের পুরো আলো ছিল সাকিব আল হাসানের ওপর। ৪০৮ দিন পর প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে নামেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তার ফেরার দিনে আলো কেড়ে নেন আরিফুল হক। মন্থর ব্যাটিংয়ের জন্য তিনি হতে পারতেন জেমকন খুলনার খলনায়ক। ম্যাচ শেষে নায়কের আসনে দেখা গেল তাকেই।

১৫৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শেষ ওভারে খুলনার প্রয়োজন হয় ২২। পুরো ইনিংস মন্থর ব্যাটিং করা আরিফুল দাঁড়িয়ে ২৯ বলে ২৪ রানে। বাজির পাল্লা ভারি ছিল ফরচুন বরিশালেরই।

দিনের প্রথম ম্যাচে শেষ ওভারে নয় রান পুঁজি করে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীকে জেতান অফ-স্পিনার মেহেদি হাসান। সেই ভরসাতেই বোধহয়, আরেক অফ-স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজকে শেষ ওভার করতে দেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

কিন্তু দুই মেহেদির ভাগ্য হলো দুই রকম। আগের ম্যাচে যেখানে মেহেদি করলেন দারুণ এক ডেথ ওভার। মেহেদি মিরাজ সেখানে স্মৃতি ফেরালেন ২০১৬ ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি ফাইনালে বেন স্টোকসের। আর আরিফুল যেন কার্লোস ব্র্যাথওয়েইট।

প্রথম বলে আরিফুল ছয় হাঁকান লং-অন দিয়ে। দ্বিতীয়টিও তাই। তৃতীয় বলটা লং-অফে ঠেলে দিয়ে সুযোগ ছিল সিঙ্গেলের, নেননি। ডট বল নিয়ে ভুল করেননি, সেটি প্রমাণ করেন পরের দুই বলে। আবারও ছয়। এবার মিড-উইকেট দিয়ে। ওভারের পঞ্চম বলটা মিরাজ করেন গুড লেংথে। সেই উপহার আরিফুল নেন দু'হাত ভরে। মিডউইকেট দিয়ে আরেকটি ছয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন এক বল হাতে রেখেই। ২৯ বলে ২৪ থেকে আরিফুল ইনিংস শেষ করলেন ৩৪ বলে ৪৮ করে।

অথচ ম্যাচটি এরকম টানটান হবার কথাই নয়। টসে জিতে খুলনা অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ সিদ্ধান্ত নেন ফিল্ডিংয়ের। সিদ্ধান্তটি যে ভুল নয়, সেটি প্রমাণ করতেই যেন প্রথম বলেই শফিউল ইসলাম আউট করেন ওপেনার মেহেদি হাসান মিরাজকে। পাওয়ার-প্লে শেষ হওয়ার আগে ফেরেন ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

ইনিংস জুড়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বরিশাল। তপারভেজ হোসেন ইমনের ৫১, সঙ্গে তৌহিদ হৃদয় ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ছোট ছোট অবদানে বরিশাল শেষ করে ১৫২ রানে।

খুলনার হয়ে সেরা বোলার ছিলেন শহিদুল ইসলাম। তুলে নেন চার উইকেট। নিজের ফেরার ম্যাচে সাকিব পান এক উইকেট। দুটি করে উইকেট নেন শফিউল ও হাসান মাহমুদ।

জবাবে তাসকিন আহমেদের গতির ঝড়ে খুলনা প্রথম ওভারেই হারায় দুই ওপেনার আনামুল হক বিজয় ও ইমরুল কায়েসকে। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও সাকিব মিলে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন ঠিকই, কিন্তু সে চেষ্টা শেষ হয় মাহমুদুল্লাহর বাজে শটে।

অধিনায়ক ফিরে যাবার পরের ওভারেই ১৫ রান করে ফিরে যান সাকিবও। খুলনা তখন ৩৬ রানে চার উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে।

সেখান থেকে জহুরুল ইসলাম ও আরিফুল হক মিলে বিপর্যয় সামাল দিলেও, মন্থর ব্যাটিংয়ে আস্কিং রেট বাড়ছিল দ্রুত। বিশেষ করে আরিফুলের ব্যাটিং ছিল চোখে লাগার মত মন্থর।

আরিফুল সেই ধীর ব্যাটিংয়ের ধার শোধ করেন শেষ ওভারে। শামিম পাটোয়ারির আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে জয়ের দিকে এগুলেও আস্কিং রেট ছাড়িয়ে যায় ১২। শামিম আউট হবার পর সমীকরণ নেমে আসে দুই ওভারে ২৯ এ।

তাসকিনের ওভারে শহিদুল-আরিফুল মিলে নিতে পারেন মাত্র সাত। শেষ ওভারে তাই প্রয়োজন হয় ২২।

শেষ ওভারে মিরাজের পাঁচ বলে আরিফুল মারেন চার ছয়। তাতেই ম্যাচ খুলনার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ফরচুন বরিশাল : ১৫২/৯ (২০ ওভার) (ইমন ৫১, তৌহিদ ১৭, শহিদুল ৪/১৭, শফিউল ২/২৭)

জেমকন খুলনা : ১৫৫/৬ (১৯.৫ ওভার) (আরিফুল ৪৮*, জহুরুল ৩১, সুমন ২/২১, তাসকিন ২/৩৩)

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন