বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেছেন, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়াশোনা শেষেই চাকরি পাওয়া যায়। এটি আমাদের গ্যারান্টি। কারণ আমাদের দেশে এ সেক্টরে শিক্ষিত জনশক্তি কম আছে। এ সেক্টরটি বিদেশিদের ওপর নির্ভরশীল। এ নির্ভরতা কমিয়ে আমরা দেশে শিক্ষিত দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ প্রতিষ্ঠা করছি। গতকাল দুপুরে গোপালগঞ্জে ১৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন শেখ রেহানা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের গার্মেন্টস শিল্প বিশ্বের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এ শিল্পকে নির্ভর করে ইতোমধ্যে আমাদের দেশে টেক্সটাইল, বোতাম, সুতা ও প্যাকেজিংসহ বৃহৎ শিল্প গড়ে উঠেছে। এসব শিল্পে বিদেশিরা কাজ করছে। সেখানে আমরা জনসম্পদ দিতে পারিনি। আমরা এসব শিল্পে শিক্ষিত দক্ষ জনশক্তি দিতে প্রস্তুত হয়েছি। তাই টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ করছি। ১৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে গোপালগঞ্জে শেখ রেহানা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নির্মাণ করছি। ইতোমধ্যে কলেজের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এখানে যন্ত্রপাতি স্থাপনের পর ছাত্র ভর্তি শুরু করা হবে। এটি চালু হলে এ অঞ্চলের ছেলে মেয়েরা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে টেক্সটাইল, গার্মেন্টস, বোতাম, প্যাকেজিংসহ বিভিন্ন শিল্পে ভালো ভালো চাকরি পাবে। তখন আর আমাদের বিদেশিদের ওপর নির্ভর করতে হবে না। দেশের আয় ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে।
এর আগে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে বন্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে তিনি পবিত্র ফাতেহা পাঠ, বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টের শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মোনাজাত করেন। দোয়া মোনাজাত শেষে তিনি টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধু ভবনে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন।
এসময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাঈদুর রহমান খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজী শহিদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাসসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন