৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী, ভ্যানচালক শম্পার পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শম্পার বাবা শরিফুল ইসলামের চিকিৎসা, ঘর নির্মাণ, শম্পার লেখাপড়া ও তাদের নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল বুধবার শুরু হয়েছে প্রধানমন্ত্রী দেয়া ঘর নির্মাণ। জেলা প্রশাসক মো. এনামুল হক এই ঘর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। এসময় জামালপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদা ইয়াছমিনসহ গণ্যমাণ্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। নতুন ঘর নির্মাণ শুরুর পর উন্নত চিকিৎসার জন্য শম্পার বাবা শরিফুল ইসলামকে ঢাকায় পাঠানো হয়। তাহাজত শম্পা জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের নাকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী।
৫ বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় ডান পা ভেঙে যায় শম্পার বাবার। প্রথমে জামালপুর হাসপাতাল এবং পরে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার পরেও ভালো হয়নি শরিফুলের ডান পা। এরপর থেকেই সবসময় বিছানায় থাকতে হয়। সবজি বিক্রি করে সংসারের হাল ধরেন শম্পার মা নেবুজা বেগম। সেই উপার্জনেও যখন সংসার চলে না তখন বাবার ঔষধ কিনতে দেড় বছর আগে ভ্যান চালানো শুরু করে শম্পা।
কয়েকদিন আগে শম্পার পরিবারের ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নজরে আসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তিনি বিষয়টি জেলা প্রশাসককে তদন্ত করে রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশ পেয়ে জেলা প্রশাসক শম্পাদের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সাথে কথা বলেন। এ বিষয়ে রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানোর পর শম্পার পরিবারের সকল দায়িত্ব গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
জামালপুরের জেলা প্রশাসক এনামুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শম্পার পরিবারের সকল দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। শরিফুল ইসলামের চিকিৎসা, ঘর নির্মাণ ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং তার বাবাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন সবসময় তার পরিবারের খোজ খবর নিবে এবং সহায়তা করবে বলে জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন