সিমকার্ডের মালিককে শনাক্ত করা গেলে অর্থপাচার ও সন্ত্রাসী কর্মকা-ে অর্থায়ন কমে যাবেÑশুভঙ্কর সাহা
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসী কর্মকা-ে অর্থায়ন রোধে কর্মকর্তাদের নিয়ে কর্মশালা করেছে মোবাইলে আর্থিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা। এ সময় তিনি বলেন, মোবাইলে আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যদি লেনদেনের সময় সিমকার্ডের মালিককে শনাক্ত করতে পারে, তাহলে অর্থপাচার ও সন্ত্রাসী কর্মকা-ে অর্থায়ন কমে যাবে। একই সঙ্গে সেবা প্রদানকারী এজেন্টকে অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসী কর্মকা-ে অর্থায়নের আইন-কানুন সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। তাহলে অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসী কর্মকা-ে অর্থায়ন রোধ করা সম্ভব হবে। এএমএলঅ্যান্ড সিএফটি সংক্রান্ত বিধিমালা কঠোরভাবে মেনে চলার পরামর্শও দেন তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতায় বিকাশ ‘অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং অ্যান্ড কমব্যাটিং ফাইন্যান্সিং অব টেরোরিজম (এএমএলঅ্যান্ড সিএফটি)- রেলিভ্যান্স, চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড প্রাকটিক্যালমেজারস’ কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিটের উপ-পরিচালক আল-আমিন রিয়াদ।
বিকাশ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর বলেন, বিকাশ বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে এএমএল অ্যান্ড সিএফটি সংক্রান্ত বিধিমালা সম্পূর্ণভাবে পরিপালন করছে এবং এক্ষেত্রে বিকাশ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বিকাশ’র চীফ এক্সটারনাল অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার অ্যান্ড চীফ অ্যান্টি মানি লন্ডারিং অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স অফিসার মেজর জেনারেল (অব.) শেখ মো. মনিরুল ইসলাম ছাড়াও বিকাশের সংশ্লিষ্ট বিভাগের ৮৫ জন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
২০১১ সালে কার্যক্রম শুরু করা বিকাশ দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীকে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রদান করে চলেছে। বিকাশ- ব্র্যাক ব্যাংক, ইউএস ভিত্তিক মানি ইন মোশন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের অন্তর্গত প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্স কর্পোরেশন এবং বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের যৌথ মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন