শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

বড় জনের হাতে ছোট ভাই খুন

সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৪ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০৬ এএম

নীলফামারীর সৈয়দপুরে পারিবারিক কলহে বড় ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে ছোট ভাই খুন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে শহরের বাঁশবাড়ী শেরে বাংলা স্কুল সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত বড় ভাই পলাতক রয়েছে।
জানা যায়, শহরের বাঁশবাড়ী শেরে বাংলা স্কুল সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা রেলওয়ে ঠিকাদার ও ব্যবসায়ী খন্দকার এস এম আরিফ হোসেন মানিক। তার তিন পুত্র ছেলের মধ্যে বড় ছেলে খন্দকার জাকির হোসেন আবির , মেজো ছেলে খন্দকার ইমরান হোসেন আসিফ এবং ছোট সন্তান সারোয়ার হোসেন খন্দকার ওয়ালিদ। মেজো ছেলে খন্দকার ইমরান হোসেন আসিফ ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। ছোট ছেলে মো. সারোয়ার হোসেন খন্দকার ওয়ালিদ ঢাকায় পড়াশোনা করেন। আর বড় ছেলে জাকির হোসেন আবির বাবার বাঁশবাড়ীর বাড়িতেই থাকেন।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার কর্মরত জাকির হোসেন আবির সঙ্গদোষে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। সে তার কর্মস্থলেও বেশিরভাগ সময় থাকে অনুপস্থিত। তার পিতা-মাতা, ভাইয়েরাসহ আত্মীয়স্বজন তাকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে কিছুদিন আগে বিয়ের পিঁড়িতে বসান। কিন্তু তাতেও কোন ফল হয়নি। সে কারণে অকারণে বাবা মায়ের সাথে ঝগড়া বিবাদ লিপ্ত হয়। এমনকি নেশার টাকা পয়সার জন্য ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করতো। এ অবস্থায় ঘটনার আগের দিন গত বুধবার বাড়িতে অশান্তি সৃষ্টি করে সে। এতে অসহায় বাবা বিষয়টি সমাধানের জন্য ঢাকায় অবস্থানকারী দুই ছেলে ইমরান হোসেন আসিফ ও সারোয়ার হোসেন ওয়ালিদকে সৈয়দপুরের বাসায় আসতে বলেন। বাবার কথা মতো তারা গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকা থেকে সৈয়দপুরে এসে পৌঁছেন। তাদের সঙ্গে আসিফের স্ত্রী রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেন্টাল বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী সাবরিনা আফসানা তিথিও (২৭) সৈয়দপুরে আসেন। গতকাল সকালে বাড়িতে এসে দুই ভাই ইমরান হোসেন আসিফ এবং সারোয়ার হোসেন ওয়ালিদ তাদের বড় ভাই খন্দকার জাকির হোসেন আবিরকে মাদকসেবন না করাসহ পরিবারে বিশৃঙ্খলা না করার জন্য বলেন। এ নিয়ে এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। পরে লোকজন ছাড়িয়ে দিলেও মাদকাসক্ত বড় ভাই জাকির তার সঙ্গে থাকা চাকু দিয়ে মেজো ভাই ইমরান হোসেন আসিফ বুকে আঘাত করে পালিয়ে যায়। বিষয়টি টের পেয়ে লোকজন ছুরিকাঘাতে আহত আসিফকে উদ্ধার করে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পথে সে মারা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে রক্তমাখা ছুরি ও লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
নিহতের স্ত্রী সাবরিনা আফসানা তিথি জানায়, তার ভাসুর ঘাতক জাকির হোসেন আবির সুস্থ মস্তিষ্কে তার স্বামীকে হত্যা করেছে। নিহতের পিতা কে এস এম আরিফ হোসেন মানিক জানান, মেজো ছেলে ইমরানকে হত্যার দায়ে ঘাতক ছেলে জাকিরের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। এ ব্যাপারে নিহতের স্ত্রী সাবরিনা আফসানা তিথি ভাসুর খন্দকার জাকির হোসেন আবিরকে আসামি করে সৈয়দপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। সৈয়দপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আতাউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন ময়নাতদন্তেরর জন্য লাশ নীলফামারী মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসামি গ্রেফতারের অভিযান চলছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন