কুষ্টিয়ায় সংবাদ সংগ্রহে বাধা ও সাংবাদিকদের মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মারধরের শিকার দীপ্ত টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি দেবেশ চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে গত শুক্রবার রাতে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলাটি করেন। মামলায় সদ্য বিলুপ্ত কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ আহমেদকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে। মামলার বিষয়টি কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত গতকাল এ তথ্য জানান। তবে কেউ গ্রেফতার নেই।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার রাত নয়টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর এলাকায় এসবি পরিবহন কার্যালয়ের সামনে দেবেশ চন্দ্রসহ সাংবাদিকেরা সংবাদ সংগ্রহ করতে যান। এ সময় সেখানে ছাত্রলীগ নেতা সাদ আহমেদসহ আসামিরা মোটরসাইকেলে করে হকিস্টিক ও লাঠিসোঁটাসহ এসবি কাউন্টারের সামনে যান। তাঁরা বাস কাউন্টারে ভাঙচুর চালান। এ সময় দীপ্ত টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান সেই দৃশ্য ধারণ করতে থাকেন। সাদ সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেন। দেবেশ ও ক্যামেরাম্যানকে মারধর এবং ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়। সাংবাদিক দেবেশ চন্দ্র ও ক্যামেরাম্যান হারুন উর রশীদকে আহত অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। হারুন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পর থেকে সাদ আহমেদের মোবাইল বন্ধ রয়েছে। তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল ধরেননি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন