বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

কোয়ারেন্টাইনে তিন শতাধিক বিমানযাত্রী

করোনা সনদ ছাড়াই দেশে ফেরার খেসারত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

করোনা নেগেটিভ সনদ সঙ্গে না থাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের তিন শতাধিক যাত্রীকে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) নির্দেশনা ছিল শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাত ১২টা ১ মিনিট থেকে কোনো এয়ারলাইন্সই করোনা নেগেটিভ সনদ ছাড়া যাত্রী পরিবহন করতে পারবেন না। বিদেশ থেকে এলে করোনা নেগেটিভ সনদ দেখাতে হবে। কিন্তু  ৩০৪ জন সনদ ছাড়াই দেশে ফেরেন। ফলে তাদেরকে রাজধানীর দুটি কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।
 যাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে সেই ৩০৪ জনের অধিকাংশই মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা নাগরিক। তাদের অধিকাংশকই রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে আসেন। আগাম টিকেট কেটে রাখায় তাদেরকে বিমান নিয়ে আসতে বাধ্য হয়। যাত্রীদের অনেকেই নেগেটিভ সনদ নিয়ে আসার বাধ্যবাধকতার কথা জানতেন না।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের মধ্যে যারা করোনা সনদ না নিয়ে আসবেন তাদের ভোগান্তি পোহাতে হবে। তাদেরকে ১৪ দিন বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকতে হবে। যাত্রী নিজে পজিটিভ না হলেও একই কক্ষে অবস্থানকারী একজনের পজিটিভ হলে তাকেও ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এক্ষেত্রে যারাই আসবেন তাদেরকে ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেতে নিজ খরচে করোনো নেগেটিভ সনদ নিয়ে আসার পরামর্শ দেন তিনি।
বিমানবন্দরে কর্মরত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শামীমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আনুমানিক ২০টি ফ্লাইটে বিভিন্ন দেশ থেকে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশী যাত্রী দেশে ফেরেন। তাদের মধ্যে ৩০৪ যাত্রীর সঙ্গে কোনো করোনা সনদ ছিল না। তাদের সকলকেই প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।
বিমানবন্দরের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.শাহরিয়ার সাজ্জাদের দাবি, শতকরা ৯৫ শতাংশের বেশী যাত্রী সাথে করোনার নেগেটিভ সনদ নিয়ে আসছেন। ফলে আগের তুলনায় তাদের কাজের চাপ কমেছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের সকলেই করোনা নেগেটিভ সনদ নিয়ে দেশে ফিরবেন বলে মনে করেন তিনি।
সউদী আরব থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সযোগে দেশে ফিরেছেন সুলতান আহমেদ। বেবিচকের নির্দেশনা মেনে করোনার আরটি-পিসিআর প্রতিবেদন দেখাতে না পারায় তাকে আশকোনা হজক্যাম্পের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। তাকে যে কক্ষে দেয়া হয় সেই কক্ষে তার্কিশ এয়ারলাইন্সেরও একজন যাত্রী রয়েছে। দুজনের করোনা পরীক্ষায় যিনি তার্কিশ এয়ারলাইন্সে এসেছেন তার করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। সুলতান আহমেদের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও পজিটিভ রোগীর সঙ্গে একই কক্ষে থাকায় তার নেগেটিভ আসলেও ছাড়া হচ্ছে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন