গ্রাহকের নিরাপত্তা দিতে গ্রামীণফোন ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ। এই ব্যর্থতার জন্য তিনি দ্রুত অপারেটরটির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী গ্রামীণফোনের কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজারসহ বুধবার ৪জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই গ্রাহকরা তাদের নিরাপত্তা ও হয়রানি নিয়ে অভিযোগ করলেও জিপি, মন্ত্রণালয়, নিয়ন্ত্রক সংস্থা কেউই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি। বলা যেতে পারে নিতে ব্যর্থ হয়েছে। অবশেষে গত ৬ ডিসেম্বর গোয়েন্দা সংস্থা গ্রামীণফোনের কাস্টমার কেয়ারের কর্মীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এই প্রতারক চক্রের কাছে গ্রাহকদের সংরক্ষিত সকল তথ্য অপরাধীচক্র কাছে ২ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে অনেক নিরপরাধ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের হয়রানি করেছে। হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। তিনি বলেন, করোনা মহামারীর মধ্যেই গ্রামীণফোন তাদের ১৪টি নিজস্ব গ্রামীণ সেন্টার বন্ধ করে দিয়ে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে অদক্ষ অপেশাদার লোক দিয়ে কাস্টমার কেয়ার পরিচালনা করতে শুরু করছে। এজন্য আমরা মন্ত্রীর কাছে গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে ১৩টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে বেশ কিছু সুপারিশ করেছিলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় তিন মাস অতিক্রান্ত হলেও জিপির বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ তো দূরে থাক এ নিয়ে কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি বলেন, জিপি প্রমাণ করেছে তার কোনো গ্রাহকের গোপনীয়তায় আর নিরাপদ নয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন