বঙ্গবন্ধু সেতু পারাপারে এখন আর টোল পরিশোধ করতে টোল প্লাজায় দাঁড়াতে হবে না। ফার্স্ট ট্র্যাক লেন ব্যবহার করে পরিবহনগুলো বিরতিহীনভাবে সেতু পার হতে পারবে। গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব ও পশ্চিমের টোল প্লাজায় স্থাপিত দুইটি ফার্স্ট ট্র্যাক লেনের উদ্বোধন করেন সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন।
এর আগে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হতে সেতুর টোল প্লাজায় টোল পরিশোধের জন্য লাইনে দাড়িয়ে অপেক্ষা করতে হতো পরিবহনগুলোকে। কিন্তু এখন আর পরিবহনগুলোকে লাইনে না দাড়িয়ে বিরতিহীনভাবে সেতু পারাপার করতে পারবে। এতে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের রকেট একাউন্টের মাধ্যমে গাড়ির উইন্ড শিল্ডে লাগানো আরএফআইডি ব্যবহার করে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে টোল পরিশোধ করে বাঁধাহীনভাবে দ্রুতগতিতে টোলপ্লাজা অতিক্রম করতে পারবে।
এ সময় সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, চালু হওয়া দেশের বৃহৎ বঙ্গবন্ধু সেতুতে আধুনিক বা ইলেক্ট্রনিকস টোল কালেকশন সিস্টেমের (ইটিসি) মাধ্যমে শুরু হলো টোল আদায়। এতে টোল প্লাজায় বাঁধাহীনভাবে পরিবহনগুলো সেতু পার হতে পারবে। সারাদেশের টোল আদায়ের সেতুগুলো ৫০ ভাগ ইলেক্ট্রনিকসভাবে টোল কালেকশন সিস্টেমে আদায় করার উদ্যোগ নেয়া হবে।
ফার্স্ট ট্র্যাক বুথ উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন, সেতু মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এস এম মাজহারুল ইসলাম, সেতু বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদৌস, বঙ্গবন্ধু সেতুর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. তোফাজ্জল হোসেন, মো. অহিদুজ্জামান, বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল, সহকারি প্রকৌশলী আহসান মাসুদ বাপ্পী, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এসিভিপি অ্যান্ড সিএফআইও আবুল কাশেম খান, হেড অব মোবাইল ব্যাংকিং ডিভিশনের মাহবুবুল ইসলামসহ সেতু কর্তৃপক্ষ, সিএনএস লিমিটেড ও ডাচ বাংলা ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন