সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠ, খেলার মাঠ, রেললাইন, সড়ক, মহাসড়কের সন্নিকটে পশুর হাট না বসানোর সরকারি সিদ্ধান্ত উপক্ষো করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন কুমিল্লার চান্দিনা অংশের বাগুর বাসস্ট্যান্ড ঘেঁষে প্রশাসনের ইজারা বহির্ভূত স্থানে বসেছে গরুর হাট। অননুমোদিত এ গরুর হাট ঘিরে চাঁদাবাজি ও অবৈধভাবে টোল আদায়ের বিষয়টিও ওপেন সিক্রেট হয়ে দাঁড়িয়েছে। চান্দিনা পৌর গরু বাজার ইজারা কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় লোকজন অবৈধভাবে মহাসড়কের পাশে বসানো ওই গরুর হাট উচ্ছেদসহ যারা এটি পরিচালনা করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনা একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ফোরলেন চালুর পরও চান্দিনার বাসস্ট্যান্ড এলাকা ঘিরে যানজটের আশঙ্কা দূর না হওয়ায় এ স্থানটিতে থানা ও হাইওয়ে পুলিশের বেশিরভাগ সদস্য দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত থাকেন। এলাকাটি জনবহুল। তার উপর স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সময়টিতে পুলিশ সদস্যদের হিমশিম পোহাতে হয়। এসব দিক চিন্তা করে মহাসড়কের চান্দিনা-বাগুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে প্রায় আড়াইশ’ বছরের পুরনো গরুর হাট স্থানান্তর করা হয়। চান্দিনা আসনের এমপি সাবেক ডেপুটি স্পিকার অধ্যাপক আলী আশরাফ মাস চারেক আগে যানজট নিরসন ও জনস্বার্থে পুরনো গরুর হাটটি মহাসড়ক থেকে বেশ দূরত্বে ছায়কোট এলাকায় স্থানান্তর করেন। চান্দিনা পৌর এলাকার ছায়কোটে স্থানান্তরিত গরুর হাটটি ইতিমধ্যে পৌরসভার ইজারায় পরিচালনা করছেন ইজারাদার কাজী সামছুল হক। কিন্তু পুরনো হাটের জায়গাটি খালি পেয়ে সেখানে গরুর হাট গড়ে তোলে স্থানীয় একটি চক্র।
স্থানীয় লোকজন ও চান্দিনা বাজার কমিটির সদস্য সাবেক কাউন্সিলর আবদুল জলিল, আবু তাহের এবং ছায়কোট গরুর হাটের ইজারাদার কাজী সামসুল হক অভিযোগ করেন, গত তিন/চার মাস ধরে অবৈধভাবে মহাসড়ক ঘেঁষা বিলুপ্ত হাটটিতে গরু বেচাকেনার বাজার জমিয়ে চাঁদাবাজি ও টোল আদায় করছে চক্রটি। মহাসড়কের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ফের গরুর হাট চালু হওয়ায় একদিকে যানজট ও জনদুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং ইজারা নেয়া হাটটি লোকসানে পড়ছে। মহাসড়কের চান্দিনা-বাগুর বাসস্ট্যান্ডের কাছের গরুর হাটটি উচ্ছেদ এবং হাটের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভুক্তভোগীরা কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন