দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার ইউনিয়নের ওয়াপদা বেড়ীর জনতাবাজার-সুইজগেইট সড়কের দুই কিলোমিটার রাস্তা বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। এছাড়া উপজেলার রামগতি বাজার থেকে সোনাপুর রোডের আযাদ নগর সড়কের অবস্থা আরো করুন। সড়ক দইটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় এসব এলাকার হাজার হাজার মানুষ মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বহু পুরানো এই সড়কটি ইট দিয়ে সলিং করা হয়ে। এর পর ১৪ বছর অতিক্রম করলেও এখন পর্যন্ত সংষ্কার করা হয়নি সড়ক। আলেকজান্ডার ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী কমলনগর উপজেলার পাটোয়ারীহাট ইউনিয়নের ১০ গ্রামের প্রায় ২২ হাজারের মত মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়ক এটি। এ সড়কটির বেহাল দশায় উদ্বিগ্ন করে তুলেছে এলাকাবাসী কে। সড়কে পণ্য পরিবহণ, বাজারজাতকরণ ও চলাচলের ক্ষেত্রে ১০ গ্রামের মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার হাজারো শিক্ষার্থী এই সড়ক দিয়ে যাতায়াতে মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হয়। এছাড়া এই সড়কের পাশেই আলেকজান্ডার ইউনিয়ন পরিষদ ভবন। প্রতিদিন শত শত নারী পুরুষ ইউনিয়ন পরিষদে নানা কাজে এসে দুর্ঘটনার শিকার হন। নানা দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে সড়কে চলাচল কারী যানবাহন, যাত্রী ও চালকরা।
নির্মাণের ১৪ বছর অতিক্রম করলেও এ সড়ক সংস্কার করা হয়নি। বালুরচর এলাকার কাজলী বেগম, হোসনে আরা সবুজ, রাঈহান,আব্দুল কাদেরসহ অসংখ্য ভুক্তভোগী জানান এই সড়কটি সংস্কার হচ্ছে না ১৪ বছর ধরে। এটা কোনো যুক্তিতেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটা তো সুস্পষ্ট গাফিলতি। কোনো সড়ক সংস্কারের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তাদের উদ্যোগ থাকলে একটি রাস্তা এত দিন সংস্কারবিহীন থাকার কথা নয়। সড়কটির দেখভালের দায়িত্ব তাদের। বালুর চর এলাকার অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক লিয়াকত আলী বলেন, এ সড়ক দিয়ে , ১০ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন চালচল করেন। সড়কটি দীর্ঘ বছর সংস্কার বা উন্নয়নের অভাবে ইট খুলে পড়েছে। ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ সড়ক দিয়ে যানবাহন স্বচ্ছন্দে চলাচল করতে পারে না। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। মানুষ হেঁটে চলাচল করতে গিয়েও হোঁচট খেয়ে পড়েন। নবাগত উপজেলা প্রকৌশলী মহিউদ্দিন মাসুম সংবাদকর্মীদের এড়িয়ে চলেন। কোন বিষয়ে তার সাথে কথা বলতে বা যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি তা এড়িয়ে নিজেকে গোপনে রাখার চেষ্টা করেন।তবে শুধু জনতা বাজার-সুইজগেইটের এ সড়কই নয়, উপজেলার রামগতি বাজার থেকে সোনাপুর রোডের আযাদনগর সড়কের অবস্থা আরো খারাপ। রামগতি উপজেলার বহু স্থানে বহু সড়ক সংস্কারবিহীন অবস্থায় পড়ে আছে, কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সেগুলো ঠিক করার উদ্যোগ নেই।
আলেকজান্ডার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এলজিইডি অফিসের কর্মকর্তাকে কে বার বার বলার পরেও তারা কোন গুরুত্বই দিচ্ছেনা। রামগতি উপজেলা প্রকৌশলী মহি উদ্দীন মাসুমের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
রামগতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল মোমিন বলেন সড়কটির বিষয়ে এলজিইডির সাথে কথা বলে সংস্কার করার আশ্বাস দেন তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন