চিরচেনা দৃশ্যে ফিরতে শুরু করছে ল²ীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার মেঘনাপাড়ের বেড়িবাঁধ এলাকা। দীর্ঘ সময়ের লকডাউন শেষে বেড়েছে দর্শনার্থীদের সংখ্যা। খুলেছে বেড়িবাঁধ সংলগ্ন দোকান পাট এবং হোটেল রেস্তোরাঁ।
গত সোমবার বিকেলে বেড়িবাঁধ এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে এমন চিরচেনা দৃশ্যপট। বিধি নিষেধের বেড়াজাল থেকে মুক্তি পেয়ে মেঘনার তীর পেয়েছে প্রাণ। জেগেছে স্ব-মহিমায়। নদীর নীল জলের ঢেউ আর তীরের সবুজের সমারোহে দর্শনার্থীরা প্রাণভরে উপভোগ করছেন মেঘনার সৌন্দর্য। হিমেল বাতাস আর মেঘনার জোয়ারের ঢেউ দেখতে দর্শনার্থীরা এখানে জমায়েত করেন। নারী শিশুসহ পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে আসেন আলেকজান্ডার মেঘনার তীরে।
মেঘনা নদীর বেড়িবাঁধের উপরে ভাসমান দোকান ও হকাররা খুঁজে পেয়েছেন জীবন জীবিকার হারানো রসদ। বেচা বিক্রিও বাড়ছে। দর্শনার্থীদের উপস্থিতি বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে। কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, চাঁদপুর ও ল²ীপুর সদরসহ পার্শবর্তী জেলা-উপজেলা থেকে বাস, মাইক্রোবাস, সিএনজি ও মটরসাইকেল নিয়ে স্ব-পরিবারে আসছেন আলেকজান্ডারের মেঘনার তীরের এই বেড়িবাঁধে। মেঘনার তীরে ভাসমান ব্যবসায়ীদের আনাগোনাও বেড়েছে। তেমনি একজন রামগতি পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের শামীম। আমড়া বিক্রি করে আয় করছেন দৈনিক ৩০০ টাকা। বাদাম বিক্রেতা আলী হোসেনও তার বেচা বিক্রিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
নোয়াখালীর হাউজিং এলাকা থেকে পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘুরতে আসেন মো. হাসান উজ জামান। তিনি জানান, লকডাউনের একাকার সময় কাটাতে মেঘনার বেড়িবাঁধে আসা। দর্শনার্থীদের আনাগোনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রতিদিনই জনসমাগম বৃদ্ধি পাচ্ছে এখানে।
গত এক বছর ধরে বেড়িবাঁধ এলাকায় দর্শনার্থীদের ছবি তুলেন রায়হান। গত দু-মাসে আর আসেননি তিনি। এ কয়েক দিনে ছবি ভালোই আয় হয়েছে বলে জানান তিনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল মোমিন বলেন, সরকারি নির্দেশনা পেলে আলেকজান্ডার মেঘনার তীর আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন