রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

রামগতি-আলেকজান্ডার সড়কের করুণ হাল

ভোগান্তিতে সাধারণ জনগণ

আমানত উল্যাহ, রামগতি (লক্ষ্মীপুর) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৮ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০১ এএম

রামগতি-আলেকজান্ডার সড়কের বেহাল অবস্থা। এই সড়কে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্থানীয়রা। দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কে সংস্কার না হওয়া এবং সম্প্রতি মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারের পানির স্রোতে রামগতি উপজেলার ২০ কিলোমিটার পাকা ও ৬০ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক ক্ষতিগস্ত হয়। এছাড়াও কয়েকটি ব্রিজ-কালভার্ট ভেঙে যায়। রামগতি-আলেকজান্ডার সড়কের মালি বাড়ি সংলগ্ন সড়কের দু›পাশে মাটি সরে গিয়ে ব্রিজটির ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে রামগতি-বিবির হাটের মধ্যে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ১৭ কিলোমিটার রামগতি-আলেকজান্ডার আঞ্চলিক সড়কগুলোর বেহাল অবস্থা। যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা হাঁটা-চলাই কঠিন হয়ে পড়েছে। সড়কগুলোর মধ্যে চর গোসাই রোড, বিবির হাট রোড, দরবার রোড, মোল্লা রোড, মধ্য চর আলগী রোড, চর টবগী রোড, রহমত সুয়া রোড ও রব রোড বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত ও চলাচলের অযোগ্য সড়কগুলো এবং ব্রিজ, কালভার্টগুলো দ্রুত মেরামতের মাধ্যমে রামগতি-আলেকজান্ডারে যান চলাচলের উপযোগী করে তোলার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
পথচারী, সিএনজিচালক, মোটরসাইকেলচালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রয়োজনের তাগিদে সড়কগুলো দিয়ে চলতে গিয়ে প্রায়ই সিএনজি, অটো, মোটরবাইকের যন্ত্রাংশ বিকল হওয়াসহ দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে। রামগতি বাজার থেকে সদর আলেকজান্ডারে যেতে আগে সময় লাগতো আধাঘণ্টা। আর এখন লাগে এক ঘণ্টারও বেশি। তাও আবার চলতে হয় দক্ষিণাঞ্চলবাসীর একমাত্র অনিরাপদ যান সিএনজি দিয়ে। অনেকে বলছেন, আমরা লক্ষ্মীপুরের দক্ষিণাঞ্চলের সাধারণ জনগণ সব সময়ই অবহেলিত। দীর্ঘদিন ধরে সড়কের বেহাল দশার কারণে লক্ষ্মীপুর থেকে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। অথচ এ অঞ্চলে লক্ষাধিক লোকের বসবাস।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় এবং সম্প্রতি জোয়ার ও ভাটার পানির স্রোতে সড়কগুলো ভেঙে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পাকা সড়কগুলোর বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং ও খোয়া ওঠে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রামগতি-আলেকজান্ডারে যাওয়ার যে কয়েকটি রাস্তা রয়েছে সবগুলোরই অচলাবস্থা। ফলে রামগতি উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ উপজেলা সদর কিংবা জেলা শহরে যেতে পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। এ সুযোগে সিএনজিচালকরা ইচ্ছেমতো ভাড়া হাঁকিয়ে নিচ্ছে। কেননা অনেক বছর ধরে এ অঞ্চলে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে সড়কগুলো দ্রুত মেরামতের মাধ্যমে বাস চলাচলের উপযোগী করে তোলার দাবি জানান তারা।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদফতরের উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবদুর রহিম বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পাকা সড়কগুলো এবং কয়েকটি ব্রিজ, কালভার্ট জরুরি ভিত্তিতে সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোমিন বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোকে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজ, কালভার্ট ও সড়কগুলো দ্রুত সংস্কার করতে বলা হয়েছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন