নীল নদের ওপর নির্মিত একটি বাঁধ নিয়ে ইথিওপিয়ার এক কর্মকর্তার মন্তব্যের জেরে কায়রোয় দেশটির শীর্ষ কূটনীতিককে তলব করেছে মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বুধবার মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিসরের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে ইথিওপিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মন্তব্য করায় কায়রোয় দেশটির দূতাবাসের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্সকে তলব করা হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
২০১১ সালে নীল নদের ওপর গ্রান্ড ইথিওপিয়া রেঁনেসা (জিইআরডি) বাঁধ নির্মাণের ঘোষণা দেয় ইথিওপিয়া। ছয় হাজারের বেশি মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা নেওয়া হয় এই বাঁধের মাধ্যমে। এর মধ্য দিয়ে আফ্রিকার সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎ রফতানিকারক দেশ হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। অপরদিকে মিসরের বিশুদ্ধ পানির ৯০ শতাংশের জোগান আসে নীল নদ থেকে। বাঁধ নির্মাণের পর মিসরের জন্য কতটুকু পানি নিশ্চিত করা হবে আর খরার সময়ে পানি ব্যবস্থাপনা কী হবে তা নিয়ে দুই দেশের মতবিরোধ রয়েছে। মতবিরোধ রয়েছে ভাটি অঞ্চলের আরেক দেশ সুদানের সঙ্গেও। গত মঙ্গলবার ইথিওপিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ও মিসরে নিযুক্ত সাবেক রাষ্ট্রদূত দিনা মুফতি বলেন, ‘তারা (মিসর) জানে জিইআরডি তাদের কোনও ক্ষতি করবে না, অভ্যন্তরীণ সমস্যা থেকে দৃষ্টি ফেরাতে তারা (বিরোধিতা) এটা করছে।’ তিনি বলেন, এই ভাবে মনোযোগ ফেরানো বাদ দিলে বিস্ফোরণের অপেক্ষায় থাকা অনেকগুলো স্থানীয় ইস্যু মিসর ও সুদানকে মোকাবিলা করতে হবে। বুধবার মিসরের বিবৃতিতে কোনও সুনির্দিষ্ট মন্তব্যের কথা উল্লেখ করা হয়নি। তবে দিনা মুফতির মন্তব্যের পর ইথিওপিয়ার ক‚টনীতিককে তলব করায় অনেকেই মনে করেন ওই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাতেই তাকে ডাকা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার নতুন এক বিবৃতিতে মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, মিসরীয় রাষ্ট্রের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। আর অভিযোগ করা হয়েছে, আদ্দিস আবাবা আগ্রাসী সুর ব্যবহার করে ইথিওপিয়ার ভেতরে বাইরে একাধিক ব্যর্থতা আড়াল করতে চাইছে। সূত্র : রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন