২০২০ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই বছর ১৩৪৬ কন্যাশিশু ও নারী ধর্ষণের ঘটনাসহ মোট ৩৪৪০ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। ১৩টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদ।
এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জানায়, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে ২০২০ সালের মোট ৩৪৪০ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ১০৭৪ জন ধর্ষণ, ২৩৬ জন গণধর্ষণ ও ৩৩ জন ধর্ষণের পর হত্যা ও ৩ জন ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যাসহ মোট ১৩৪৬ জন নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এছাড়া ২০০ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে ৪৩ জন। ৭৪ জন যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। এসিডদগ্ধের শিকার হয়েছে ২৫ জন। তাদের মধ্যে এসিডদগ্ধের কারণে মৃত্যু বরণ করেছেন ৪ জন।
অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে ২৯ জন। তাদের মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে ৫৯ জন। অপহরণের ঘটনা ঘটেছে মোট ১২৫ জন। পাচারের শিকার হয়েছে ১০১ জন। তাদের মধ্যে পতিতালয়ে বিক্রি হয়েছেন ৪ জন। বিভিন্ন কারণে ৪৬৮ জন নারী ও শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও ৩৫ জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। যৌতুকের কারণে নির্যাতন হয়েছে ১১৭ জন, তাদের মধ্যে ৫২ জন যৌতুকের কারণে হত্যা হয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৫৯ জন। বিভিন্ন নির্যাতনের কারনে ১৬৪ জনকে বাধ্য করা হয়েছে। ২৫২ জন নারী ও কন্যাশিশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বাল্যবিবাহ সংক্রান্ত ঘটনা ঘটেছে ১১৭টি এর মধ্যে বাল্যবিয়ের চেষ্টা হয়েছে ৩৩টি ঘটনা। সাইবার ক্রাইম অপরাধের শিকার হয়েছে ৪৩ জন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন