পশ্চিম আফ্রিকার নাইজারের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দুটি গ্রামে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০০ হয়েছে। আহতের সংখ্যা ৭৫। গতকাল রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় মেয়র আলমো হাসানে। খবর ডয়েচে ভেলের।
নিরাপত্তা বাহিনী জানায়, তছোম্বাংউ ৭০ জন এবং জারোমদারে গ্রামে ৩০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। নাইজারের একজন আঞ্চলিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় শনিবার দুপুরের দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। বন্দুকধারীরা ১০০টি মোটরসাইকেলে চড়ে এসে দুটি গ্রাম ঘিরে ফেলে। এরপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে।
সন্ত্রাসী হামলার শিকার গ্রাম দুটি টিলাবেরি অঞ্চলে অবস্থিত। এ অঞ্চল ২০১৭ সাল থেকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হামলায় আক্রান্ত হচ্ছে। অব্যাহত হামলার কারণে অঞ্চলটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল।
মালি এবং বুরকিনা ফাসোর সীমান্তবর্তী নাইজার প্রায় আল কায়েদা এবং ইসলামি স্টেট আইএস সম্পৃক্ত বিদ্রোহীদের হামলার শিকার হচ্ছে। সংঘাতের কারণে পশ্চিম আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলের দেশটিতে ব্যাপক নিরাপত্তা সংকট রয়েছে। সেখানে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ফ্রান্সের মতো পশ্চিমা মিত্ররা ওই অঞ্চলে সেনা মোতায়েন করে রেখেছে। হামলার দায় এখনো কোনো গোষ্ঠী স্বীকার করেনি।
জঘন্য এ সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়েছে তুরস্ক। নাইজারের বন্ধুত্বপূর্ণ, ভ্রাতৃত্বপূর্ণ জনগণ এবং সরকারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেছে আঙ্কারা।
ভূবেষ্টিত আফ্রিকার এ দেশটি জটিল নিরাপত্তা ও মানবিক চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশটিতে ২ লাখ ৩০ হাজার উদ্বাস্তু রয়েছে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিকভাবে বাস্তুচ্যুত ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষ রয়েছে।
অনেক বছর ধরে দেশটিতে বোকো হারাম সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। গেল মাসে তারা দিফা অঞ্চলে কমপক্ষে ৩৪ জনকে হত্যা করেছে। সূত্র : ডয়েচে ভেলের।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন