ইনকিলাব ডেস্ক : বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসন ও প্রণোদনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর আওতায় ৪ লাখ ১৮ হাজার ৫১১ জন কৃষককে ৪২ কোটি ৯ লাখ ৮২ হাজার ৮০০ টাকার সহায়তা প্রদান করা হবে। বুধবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এ তথ্য তুলে ধরেন।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলো হচ্ছেÑ কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, বগুড়া, সুনামগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, শরীয়তপুর ও মুন্সীগঞ্জ। উল্লেখিত জেলাসমূহে পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় ১৭ হাজার ২১১ জন কৃষকের মধ্যে ৫৩ লাখ ৭৪ হাজার টাকার চারা ও বীজ বিতরণ করা হবে। আর প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় সারাদেশে ৪ লাখ ১ হাজার ৩০০ কৃষকের মধ্যে ৪১ কোটি ৫৬ লাখ ৮ হাজার ৮০০ টাকার ধানের চারা, সার এবং বীজ বিতরণ করা হবে।
মতিয়া চৌধুরী জানান, জুলাই-আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে স্বল্পমেয়াদে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, সুরমা, কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ১৬ জেলায় বন্যায় আমন বীজতলা, শাক-সবজি ও অন্যান্য ফসলসহ প্রায় ৭.৫০ লাখ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত হয় এবং ১.৫৮ লাখ জমির বিভিন্ন ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের সহায়তায় পুনর্বাসন ও প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় শিগগিরই কৃষিপণ্য বিতরণ করা হবে। মন্ত্রী জানান, পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় প্রত্যেক কৃষককে লালশাকের বীজ ২০০ গ্রাম, মুলা শাকের বীজ ২০০ গ্রাম, পালংশাকের ১০০ গ্রাম, বেগুনের বীজ ১০ গ্রাম, মিষ্টি কুমড়ায় বীজ ৩০ গ্রাম প্রদান করা হবে। এ কর্মসূচির আওতায় ১৭ হাজার ২১১ জন কৃষক সরাসরি উপকৃত হবেন।
কৃষিমন্ত্রী আরো জানান, ১৬ জেলায় পুনর্বাসনের আওতায় প্রতি কৃষক এক বিঘা জমির জন্য ২০ কেজি গম বীজ, ২০ কেজি ডিএপি এবং ১০ কেজি এমওপি পাবেন। ভুট্টার ক্ষেত্রে এক বিঘা জমির জন্য দুই কেজি ভুট্টা বীজ, ২০ কেজি ডিএপি এবং ১০ কেজি এমওপি পাবেন। সরিষার ক্ষেত্রে এক বিঘা জমির জন্য এক কেজি সরিষা বীজ, ২০ কেজি ডিএপি এবং ১০ কেজি এমওপি পাবেন। মুগের ক্ষেত্রে এক বিঘা জমির জন্য ৫ কেজি মুগ বীজ, ২০ কেজি ডিএপি এবং ১০ কেজি এমওপি পাবেন। Ñওয়েবসাইট
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন