অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বেসরকারি খাতের একাদশ অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) প্রাকযোগ্যতা সনদ পেয়েছে ইউনিক গ্রæপের ‘সোনারগাঁও ইকোনমিক জোন’। বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী গত বুধবার কারওয়ান বাজারের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে ইউনিক গ্রæপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূর আলীর হাতে সনদ তুলে দেন। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নে প্রাথমিকভাবে ৬৫ একর জমির ওপর এই অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রাথমিক অনুমোদন দেয়া হলেও এক বছরের মধ্যে এর ব্যাপ্তি ৩০০ একরে উন্নীত করা হবে বলে নূর আলী জানান। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ঢাকার জিরো পয়েন্ট থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে তাদের এই শিল্প পরিকল্পনা। ইতোমধ্যে চীন, জাপান, ভারতসহ কয়েকটি দেশের ব্যবসায়ীরা সেখানে শিল্প-প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার আগ্রহ দেখিয়েছে। সোনারগাঁও ইকোনমিক জোনে অন্তত ১০ হাজার নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে জানিয়ে নূর আলী বলেন, সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী এ ধরনের শিল্পাঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা গেলে দেশে প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। আমাদের দেশের যুবকদের আর বিদেশে গিয়ে কাজ করতে হবে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে এলপিজি সিলিন্ডার, মোবাইল হ্যান্ডসেট, পেট্রোকেমিকেল ও মোটরবাইক নির্মাণ কারখানা প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে তার। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিগত সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সময় দুর্নীতির মামলা করেছিলেন ব্যবসায়ী নূর আলী। দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের মত শেখ হাসিনাকেও সে সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়ায় পরে আদালত নূর আলীর মামলা থেকে শেখ হাসিনাকে অব্যাহতি দেয়। বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, প্রতিষ্ঠার তিন বছরের মাথায় সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ২২০০ একর জমি শিল্প-কারখানার জন্য উন্নয়ন করেছে বেজা। কাজের এই গতি তাদের ‘প্রত্যাশার চেয়েও বেশি’। ১৫ বছরে একশ’ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে বেজার। কিন্তু পাঁচ বছরের মধ্যেই সে লক্ষ্যে পৌঁছে যাব বলে মনে হচ্ছে। প্রাকযোগ্যতা সনদ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বেজার নির্বাহী সদস্য মো. এমদাদুল হক, মোহাম্মদ আব্দুস সামাদ, পরিপ্রসাদ পালসহ ইউনিক গ্রæপের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন