মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যক্তিগত টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার ব্যাপারে সবচেয়ে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান। তিনি বিজয়া গাদে। পেশায় তথ্য প্রযুক্তি আইনজীবী।
টুইটারের আইন ও নিরাপত্তা বিষয়ক বিভাগের প্রধান বিজয়া। ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার খবর দিয়ে তিনি লিখেছিলেন, ‘ভবিষ্যতে যাতে আরও হিংসা না ছড়ায়, সেই কারণে টুইটারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে। আমরা নিরাপত্তা বিষয়ক সব তথ্য প্রকাশ করেছি। আপনারা চাইলেই পড়তে পারেন, কেন এই সিদ্ধান্ত নেয়া হল।’ সব মিলিয়ে, এক বিজয়ার নেতৃত্বে নেয়া সিদ্ধান্তের ফলেই ট্রাম্পকে স্থায়ীভাবে টুইটার থেকে বিদায় নিতে হল।
বিজয়ার জন্ম ভারতে হলেও শৈশবেই মা-বাবার সঙ্গে তিনি টেক্সাসে পাড়ি দেন। বিজয়ার বাবা ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার। পূর্ব উপকূলে তারা থাকতে শুরু করেন। নিউ জার্সিতে হাই স্কুলের পড়াশোনা শেষ করেন। কর্নেল ইউনিভার্সিটি ও নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি ল স্কুলে পড়াশোনা করেন তিনি। সেই অঞ্চলেই তিনি প্রথম একটি তথ্য প্রযুক্তি স্টার্ট আপ সংস্থার সঙ্গে কাজ শুরু করেন। তারপর ২০১১ সালে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা টুইটারের সঙ্গে যুক্ত হন। শেষ এক দশকে বিজয়ার হাত ধরেই অনেক এগিয়ে গিয়েছে টুইটার। টুইটারের আইন ও নীতি নির্ধারণ করতে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছেন বারবার। এককথায় তার হাত ধরেই টুইটারের আইনের দিকটা পূর্ণাঙ্গ রূপ পেয়েছে। এরপর সারা পৃথিবীর রাজনীতিতে টুইটারের ভূমিকা যত বৃদ্ধি পেয়েছে, তত দ্রুতই বেড়েছে গাদের ভূমিকা।
বিদায়ী আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প থেকে শুরু করে নরেন্দ্র মোদি, দলাই লামা, পৃথিবীর অন্যতম সেরা প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে বিজয়াকে বারবার দেখা গিয়েছে শিরোনামে। ফের তিনি খবরে উঠে এলেন। এবার ট্রাম্পকে টুইটার থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের জন্য। সূত্র: ওয়ার ইন্ডিয়া, লাইভ মিন্ট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন