মনোহরদী পৌরসভার মেয়রপ্রার্থী সুজনের উঠান বৈঠকে গত বুধবার মন্ত্রীপুত্র সাদী বাহিনীর হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও গুলিবর্ষণসহ ব্যাপক সহিংসতার দুইদিনেও থানায় কোন মামলা দায়ের করা হয়নি। মেয়র সুজন ও মন্ত্রীপুত্র সাদীর পক্ষ থেকে যেমন কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি তেমনি পুলিশ নিজে বাদী হয়েও কোনো মামলা রুজু করেনি। সহিংস ঘটনার পর মনোহরদী পৌরসভা সর্বত্র থমথমে ভাব বিরাজ করছে। শিল্পমন্ত্রীর ছেলে সাদী সর্মথকরা জানিয়েছেন, মেয়র সুজনের সমর্থকরা ৩ কাউন্সিলর প্রার্থী, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভোর ৪টার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
জানা গেছে, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদের প্রার্থী দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রীর ছেলে মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদ সাদী। যা নিয়ে মেয়র সুজনের সঙ্গে সাদীর মতবিরোধ দেখা দেয়। গত বুধবার রাত ৮টায় মনোহরদী হিন্দুপাড়ায় মেয়র আমিনুর রশিদ সুজনের সর্বশেষ উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক বাবু প্রিয়াশীষ রায়, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিল্পমন্ত্রীর ছোট ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের কার্যকরী সদস্য মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদ সাদীসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় কাউন্সিলর প্রার্থীরা তাদের সমর্থকদের নিয়ে যোগ দেয়। রাত ১১টার দিকে সভা শেষে ফেরার পথে কাউন্সিলর প্রার্থী হারুন মাঝি ও খোকন রায়ের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে হারুন মাঝির পক্ষে অবস্থান নেয় মেয়র সুজনের সমর্থকরা। আর খোকন রায়ের পক্ষে অবস্থান নেয় সাদীর সমর্থকরা। উভয় পক্ষের সংঘর্ষে মেয়রের দুই ভাইসহ কমপক্ষে ১২জন আহত হয়। এ সময় উভয় পক্ষের ৫টি মোটরসাইকেল ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফজলুল হকের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। বাসস্ট্যান্ডে মেয়র সুজন এই ঘটনায় মন্ত্রীর ছেলে সাদীকে দায়ী করেন তার সহযোগীদের দ্রুত গ্রেফারের দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মনোহরদী থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নির্বাচনী সহিংসতায় কোন পক্ষ মামলা করতে আসেনি। আমরাও কোন মামলা করিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন