পৃথক দুই মামলায় বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি আগামি ২৭ জানুয়ারি। গতকাল রোববার নতুন এ তারিখ ধার্য করেন ঢাকা মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নুর। ভুয়া জন্মদিন পালন ও মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করার অভিযোগে মামলা দু’টি দায়ের করা হয়।
একটি এজাহারে বলা হয়,বিভিন্ন মাধ্যমে খালেদা জিয়ার পাঁচটি জন্মদিন পাওয়া গেলেও কোথাও ১৫ আগস্ট জন্মদিন পাওয়া যায়নি।এ অবস্থায় তিনি পাঁচটি জন্মদিনের একটিও পালন না করে ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃতু্যূবার্ষিকীর দিন জাতীয় শোক দিবসে (১৫ আগস্ট) আনন্দ-উৎসব করে জন্মদিন পালন করে আসছেন। ‘জন নেত্রী পরিষদ’র সভাপতি এবি সিদ্দিকী এ মামলাটি দায়ের করেন।
মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় বলা হয়,২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের সঙ্গে জোট করে নির্বাচিত হয়ে সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
তিনি (খালেদা জিয়া) স্বাধীনতা বিরোধী নেতাকর্মীদের মন্ত্রী-এমপি বানিয়ে তাদের বাড়ি-গাড়িতে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছেন। ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট অপর এ মামলাটি দায়ের করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম। ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই এ দুই মামলায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ খালেদার জামিন মঞ্জুর করেন।
মামলা তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে-দাবি করে পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে।
সেই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির তারিখ ধার্য করেন আদালত। এ মামলায় বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে আসামি করা হলেও ‘মৃত’ হওয়ায় তদন্ত প্রতিবেদনে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন