শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই আসবে ইংল্যান্ড

প্রকাশের সময় : ২৮ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর নিয়ে কেটে গেছে অনিশ্চয়তা। গত বৃহস্পতিবার রাতে ইংল্যান্ড ওয়ানডে ও টেস্ট অধিনায়ক এবং টীম ম্যানেজমেন্টকে নিয়ে বাংলাদেশ ঘুরে আসা ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলশ ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ সফরে শতভাগ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেয়ে এই সফরের গ্রীন সিগন্যাল দিয়েছে ইসিবি। তাতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে পুরো বাংলাদেশ। বিসিবি সভাপতি তার নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন ডেকে সেখানে উপস্থিত মিডিয়াকে করিয়েছেন মিস্টিমুখ। ইসিবিকে দিয়েছেন ধন্যবাদ। তবে গত বৃহস্পতিবার ইসিবি’র তিন সদস্যের নিরাপত্তা প্রতিনিধি দলের সভায় উপস্থিত থেকেও টেস্ট অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক সন্তান সম্ভাবা স্ত্রীকে সময় দিতে চান বলে বাংলাদেশ সফর থেকে নাম প্রত্যাহারের কথা ভাবছেন এবং দু’ভার্সনের ক্রিকেটে নুতন বলের পেস বোলার স্টুয়ার্ট ব্রড এই সফর করবেন না বলে তার অবস্থান জানিয়ে দেয়ায় বাংলাদেশ সফরে পূর্ণশক্তির দল নিয়ে সন্দিহান অনেকেই।
তবে খেলোয়াড়দের সবার মতামত নিয়ে পূর্ণশক্তির ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরের কথা ভাবছেন ইসিবি’র পরিচালক এবং ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসÑ‘খেলোয়াড়দের সবাইকে পাওয়া যাবে কি না, এ ব্যাপারে তাদের সবাইকে জিজ্ঞেস করিনি। এখনো সে পর্যায়ে বিষয়টি আসেনি। সফরটি যে নিরাপদ খেলোয়াড়দের তা বোঝাতে পারব বলে আমি আশাবাদী। এ ব্যাপারে আমি শতভাগ নিশ্চিত। রেগ ডিকাসন (ইসিবি’র প্রধান নিরাপত্তা উপদেষ্টা) এবং তার অভিজ্ঞতায় আমার সর্বোচ্চ আত্মবিশ্বাস আছে। আমার কাজ হচ্ছে ইসিবি’র চাকরি করা। রেগের কাজ হচ্ছে খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা। আমি নিশ্চিত, একবার তারা (খেলোয়াড়রা) এই নিশ্চয়তা পেলে পুরো স্কোয়াড একসঙ্গে হয়ে বলবে, চলো একটা গ্রæপ হিসেবে যাই।’
বাংলাদেশ সরকারের নিরাপত্তা পরিকল্পনায় সন্তুষ্ট হয়ে যে রিপোর্ট দিয়েছেন ইসিবি’র প্রধান নিরাপত্তা উপদেষ্টা রেগ ডিকাসন, সেই রিপোর্ট নিয়ে সন্তুষ্ট ইসিবি বাংলাদেশ সফরে খেলোয়াড়দের সবার মতামত নিয়ে গণতান্ত্রিক চর্চা করতে চায়। কাউকে জোর করে বাংলাদেশ সফরে রাজি করানোর পক্ষে ননÑ‘কাউকে কোনো সফরে যাওয়ার জন্য, কিংবা না যাওয়ার জন্য জোর করতে পারি না। আমাদের কাজ হচ্ছে তাদের নিশ্চয়তা দেওয়া যে এটা নিরাপদ। আর এটাই যদি হয় তাহলে সফর থেকে নাম প্রত্যাহারের কোন কারণই নেই। তাদের কোনো প্রশ্ন থাকলে আমরা উত্তর দেব। আর যদি কারো মনে ভয় থাকে, তাহলে তারা বিছানায় যেতে পারে।’
২০০৮ সালে মুম্বাই হামলার পর সফরের শেষ ২টি ওয়ানডে ম্যাচ না খেলে দেশে ফিরে এসেছিল ইংল্যান্ড। পরবর্তীতে দ্বিতীয় দফায় ভারত সফর করে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলার অতীত আছে ইংল্যান্ড দলের। পিটারসনের নেতৃত্বে যে দলে ছিলেন স্ট্রাউস এবং অ্যালিস্টার কুক। ২ ক্রিকেটারের অনুপস্থিতিতে সেই সফরে ছিলেন স্টুয়ার্ট ব্রড এবং এন্ডারসন। মুম্বাই হামলার পর সফরের মাঝপথে ফিরে এসে পুনরায় ভারত সফরে যাওয়ায় প্রশংসিত হয়েছিল ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। শঙ্কা দূর করে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলকে বাংলাদেশ সফরে আমন্ত্রণ জানিয়ে মাশরাফির আবেদনে তাই আবেগের প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছেন স্ট্রাউসÑ ‘আমরা যখন ভারতে ফিরে গেলাম তখন আমাদের চারপাশে ব্যাপক নিরাপত্তা ছিল। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি না বাংলাদেশেও এমনটা হবে কি না। তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আমার অভিজ্ঞতা বলে এ রকমই হবে। এটা একটা আবেগী বিষয় এবং অনেকে এই প্রথম এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।’
তবে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির উপর পর্যবেক্ষণই শুধু করছে না ইসিবি, ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরকে সামনে রেখে তিনি, ইসিবি সিইও টম হ্যারিসন এবং চেয়ারম্যান কলিন গ্রেভস বেশ ক’বার বাংলাদেশে আসতে চান। আর বাংলাদেশ সফরের জন্য পূর্ণশক্তির দল ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে পাকিস্তানের বিপক্ষে আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় টি-২০ ম্যাচের পর।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন