ঘন কুয়াশার কারণে দেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় কৃর্তপক্ষ। রাত ২টা থেকে কুয়াশার ঘনত্ব বৃদ্ধি পেলে দুর্ঘটনা এড়াতে এই নৌরুটে ফেরি চলাচলরত ১৬টি ফেরি বন্ধ করে দেয়া হয়।
গতকাল শুক্রবার সকালে কুয়াশার ঘনত্ব কমে গেলে বেলা ১১টার দিকে ফেরি চলাচল শুরু হয়। তবে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় নদী পারের অপেক্ষায় দৌলতদিয়া প্রান্তে আটকা পড়েছে শত শত যানবাহন। এতে করে তীব্র শীতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে যাত্রী ও চালকরা। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস ও প্রাইভেট কার এবং গোয়ালন্দ মোড়ে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়েছে। তবে সকাল ১১টা থেকে ফেরি চলতে শুরু করায় যাত্রী ও যানবাহনের চালক এবং শ্রমিকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসতে দেখা গেছে।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক আবু আবদুল্লাহ রনি জানান, রাত ২টা থেকে দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌ রুট এলাকায় ঘন কুয়াশা পড়তে থাকে। কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে গেলে ফেরী চালকদের দৃষ্টিসীমা শূন্যে নেমে আসে। এ কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে নৌরুটে ফেরী সার্ভিস বন্ধ রাখা হয়। তবে ৯ ঘণ্টা পর কুয়াশা কেটে গেলে সকাল ১১টা থেকে পুনরায় ফেরী চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এই রুটে ছোট বড় ১৬ টি ফেরী রয়েছে । আটকে থাকা যানবাহন গুলো পারাপার শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ে ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো.জিল্লুর রহমান জানান, ঘন কুয়াশা কেটে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে নৌরুটে মার্কিং বাতির আলো অস্পষ্ট হয়ে। আটকে পড়া যানবাহন শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে পারাপার শুরু করেছি। সিরিয়াল অনুযায়ী যানবাহনগুলো পার করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন