শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

হকির কোচ নিয়োগে তুঘলকি কান্ড

প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : জাতীয় হকি দলের বিদেশী কোচ নিয়োগ নিয়ে তুঘলকি কাÐ ঘটাচ্ছে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন। এতোদিন কোচই পাচ্ছিলো না তারা। কিন্তু এখন নাকি একাধিক বিদেশী কোচ বাংলাদেশে আসতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। জানা গেছে, এক, দুইজন নয়, প্রায় একই সময়ে পাঁচজন হকি কোচ আসছেন ঢাকায়। যাদের সবাই জার্মানীর। সবারই লক্ষ্য বাংলাদেশ জাতীয় হকি দলের কোচ হওয়া। এ তালিকায় প্রথমেই আছেন অলিভার কার্টজ। যিনি আজ ভোরে আসছেন ঢাকায়। আগামীকাল আসবেন উইচম্যান। সেই সঙ্গে গেরহার্ড পিটারকেও ফের ঢাকায় আনার চেষ্টা চলছে বলে ফেডারেশন সূত্র জানায়। খুব শিঘ্রই আসতে পারেন লুগার বিচম্যান ও লুসচাও। তবে বিদেশী কোচের খরচ নির্বাহের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ঘোষণার চেয়ে অর্থ কম দেবে। এমন খবরে শঙ্কিত হকি ফেডারেশন কর্তারা। যে কারণে তারা ইউরোপের অন্য কোনও দেশে কোচ খুঁজছেন না।
বিদেশী কোচের খরচ চালাতে বিসিবি আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিলেও দীর্ঘ ছয়মাস পেরিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত কোচ আনতে পারেনি হকি ফেডারেশন। তবে সম্প্রতি কোচ নিয়োগের জন্য সহ-সভাপতি শফিউল্লাহ আল মুনীরকে চেয়ারম্যান করে ‘কোচ নিয়োগ কমিটি’ গঠন করা হয়। কিন্তু সেই জার্মানিতেই আটকে রয়েছেন মুনীর। পিটার, অলিভার কার্টজের পর এবার শোনা যাচ্ছে জার্মানীর আরেক কোচ উইচম্যানের কথাও। মূলত জার্মান লীগে খেলোয়াড়দের পাঠানোর জন্যই নাকি ওই দেশটির প্রতি আগ্রহ বেশি হকির এই কর্তার। সেই তালিকায় রয়েছে আরও দুই জার্মান কোচ লুগার বিচম্যান ও লুসচার নামও।
মাসখানেক আগেও জার্মানির পিটার গেরহার্ডকে নিয়োগ দিতে চেয়েছিল হকি ফেডারেশন। কিন্তু বাধ সাধেন শফিউল্লাহ আল মুনীর। প্রিমিয়ার লিগে পিটারের কোচ হওয়ার কথা ছিল মোহামেডানের। এ লক্ষ্যে পিটার দুবার বাংলাদেশেও এসেছিলেন। মোহামেডান আতিথ্যও দিয়েছিল তাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মেরিনারের কোচ হন তিনি। এতে কিছুটা মন ক্ষুণœ মুনীর। তবে কমিটির চেয়ারম্যান হওয়ার সুবাদে এবার কোচ আনার উদ্যোগটা নিজেই কাধে তুলে নিয়েছেন এই সহ-সভাপতি। তাই জার্মানীর দিকেই হাতটা প্রসারিত করেছেন তিনি। জানা গেছে, এই কোচদের মাধ্যমেই দেশের খেলোয়াড়দের জার্মান লিগে খেলানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এদিকে বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, বিদেশী হকি কোচের জন্য আগে ১৫ হাজার ডলার দেয়ার কথা থাকলেও সেই অংক কমিয়ে দিতে পারে বিসিবি। যা দাঁড়াতে পারে আট থেকে ১০ হাজার ডলারে। যার ফলে জার্মানী ছাড়া অন্য কোন দেশের কোচ আনা সম্ভব হচ্ছে না হকি ফেডারেশনের পক্ষে। কারণ ইউরোপের অন্য দেশের কোচেরা প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার ডলার দাবী করেন। আর তাই ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের নাকি জার্মান কোচের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন