টানা তিন কার্যদিবস দরপতনের পর প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং আরেক শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্য সূচক কিছুটা বেড়েছে। তবে ডিএসইতে এদিন লেনদেনের পরিমাণ কমে হাজার কোটি টাকার নিচে নেমেছে। বাজারটিতে গত ২৬ কার্যদিবসের মধ্যে এটিই সর্বনিম্ন লেনদেন।
গতকাল লেনদেনের শুরুতে মূল্য সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার আভাস পাওয়া গিয়েছিল। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রথম দেড় ঘণ্টার লেনদেনে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ৫০ পয়েন্টের ওপরে বেড়ে যায়। তবে এরপর বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের দরপতন হলে কমে যায় সূচকের উত্থান প্রবণতা। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৯ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৭১৪ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ১৫ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৭৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক দশমিক ৪০ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৭৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সবকটি মূল্য সূচক বাড়লেও ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছ কমছে প্রায় তার সমান সংখ্যকের। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১২৮টি প্রতিষ্ঠান। বিপরীতে দাম কমেছে ১২৫টির। আর ১০১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
মূল্য সূচকের উত্থানের দিনে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বড় অঙ্কে কমে গেছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৯০৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা। যা আগের দিন ছিল ১ হাজার ১২৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এ হিসেবে লেনদেন কমেছে ২১৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এর ফলে ২০ ডিসেম্বরের পর বাজারটিতে সর্বনিম্ন লেনদেন হলো। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে এদিন সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১৩২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রবির ৬৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৪৮ কোটি ২১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো।
আরেক শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৫৬ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৪২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯৫টির এবং ৫৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন