শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ইসলামোফোবিয়া ও জেনোফোবিয়া বন্ধে এগিয়ে আসুন : এরদোগান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:৪৬ পিএম

বর্ণবাদী সন্ত্রাস সামাজিক শান্তি ও মানুষের সহাবস্থানের ক্ষেত্রেও নিরাপত্তার হুমকি তৈরি করেছে বলে জানান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট এরদোগান।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বলেছেন, বিশ্বের উচিত ইসলামোফোবিয়া ও জেনোফোবিয়া (ভিনদেশীদের প্রতি ঘৃণার মনোভাব) বন্ধে এগিয়ে আসা। বুধবার আন্তর্জাতিক হলোকাস্ট স্মরণ দিবসে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এই কথা বলেন। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে এই ধরনের আচরণ বহুগুণে বেড়েছে।

ভিডিও বার্তায় প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এমন ব্যবস্থা নেয়া উচিত যাতে করে হলোকাস্ট এবং বসনিয়া, রুয়ান্ডা ও কম্বোডিয়ার গণহত্যার মতো দুঃখজনক ঘটনা আর না ঘটে।

এরদোগান বলেন, মানবতা বর্তমানে এক গুরুতর সময় পার করছে। মহামারীর সাথে সাথে বর্ণবাদের ভাইরাস সংক্রমণের হারও বেড়ে চলছে।

ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, মসজিদ, সিনাগগ ও গির্জাসহ ইবাদতের স্থানগুলোতে সহিংসতার ঘটনা গুরুতরভাবে বেড়েছে।

তিনি বলেন, ‘দিনে দিনে জাতীয়তা, ধর্ম, ভাষা ও চেহারার ভিন্নতায় সমাজের অংশীদারদের বিরুদ্ধে ঘৃণা থেকে অপরাধের হার বেড়ে চলছে।’

তিনি বলেন, ‘লাখ লাখ মানুষের জীবন কেড়ে নেয়া হলোকাস্ট, বসনিয়ার গণহত্যা, রুয়ান্ডার গণহত্যা ও কম্বোডিয়ার গণহত্যার চিহ্ন আজকের প্রক্রিয়াগত বৈষম্যকরণ, প্রান্তিকীকরণ ও ঘৃণামূলক বক্তব্যের বেড়ে যাওয়াতে দৃশ্যমান।’

প্রেসিডেন্ট এরদোগান জোর দিয়ে বলেন, এই ধরনের গণহত্যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সব ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ প্রতিরোধে স্মরণচিহ্ন হিসেবে কাজ করবে।

তিনি বলেন, ‘শুধু প্রতিটি দেশের নৈতিক আচরণের ভিত্তিতেই নির্ধারিত হবে না। ১৯৪৮ সালের জাতিসঙ্ঘ সম্মেলনের চুক্তির বাধ্যবাধকতার আওতায় গণহত্যার অপরাধের প্রতিরোধ ও শাস্তি নির্ধারিত হয়েছে।’

তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, এই বিষয়ে প্রতিটি ও প্রত্যেক আন্তর্জাতিক সংস্থা, সরকার, গণমাধ্যম, রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজ, ধর্মীয় গোষ্ঠী ও নেতৃত্বের অপরিহার্য দায়িত্ব রয়েছে। এই বিষয়ে তুরস্ক আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মে বিভিন্ন প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে বলে জানান এরদোগান।

তিনি বলেন, ‘এইক্ষেত্রে আমরা খোলা-দুয়ার নীতি প্রয়োগ করছি। আমাদের দেশে ভ্ন্নি ভিন্ন বিশ্বাস, ভাষা ও জাতির যারাই আশ্রয় নিচ্ছে, তাদের সবাইকে আমরা রক্ষা করছি।’
সূত্র : ইয়েনি শাফাক

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
MD Akkas ২৮ জানুয়ারি, ২০২১, ১:৫৩ পিএম says : 0
আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুক। পৃথিবী যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়। আপনার দিকে অনেকেই পথ চেয়ে আছে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন