ফিটনেসে ঘাটতি থাকায় বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ড্রাফটেই জায়গা হয়নি নাসির হোসেনের। গত মার্চের পর কোনো ধরনের ক্রিকেটেও দেখা যায়নি তাকে। আবু ধাবি টি-টেন লিগে তিনি কেবল দলই পাননি, পেয়েছেন পুনে ডেভিলস দলের অধিনায়কত্বও। দেশের বাইরের সেই মিশনে বেশ ভালো শুরু পেয়েছেন বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার। বল হাতে দারুণ করেছেন তিনি। জিতেছে তার দলও।
গতপরশু রাতে আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে নাসিরের তোপে ১০৪ রান করেছিল ডেকান গ্ল্যাডিয়েটর্স। কেন্নার লুইসের ঝড়ে সেই রান টপকে ৭ উইকেতে জিতেছে পুনে ডেভিলস। দলকে জেতাতে ৩ ওভারে ১৮ রান দিয়ে নাসির নিয়েছেন ৩ উইকেট। এদিন ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই বল করতে আসেন নাসির। নিজের দ্বিতীয় বলেই সুনিল নারাইনকে বোল্ড করে দেন তিনি। ওই ওভারে নাসিরের অফ স্পিনে কাবু হয়েছেন আফগানিস্তানের মোহাম্মদ শেহজাদও। ১০ ওভারের খেলায় একজন বোলার করতে পারেন সর্বোচ্চ ২ ওভার। সপ্তম ওভারে আবার আক্রমণে ফিরে উইকেট নেন পুনে অধিনায়ক। তার বলে কেন্নার লুইসের হাতে ধরা পড়েন প্রশান্ত গুপ্তা।
তবে নাসিরের আগেও আসরের প্রথম ম্যাচেই জয়ের নায়ক আরেক বাংলাদেশি। লক্ষ্যটা ছিল ১২৮। মারাঠা অ্যারাবিয়ানসকে জিততে হলে শেষ ওভারে দরকার ছিল ৮ রান। প্রথম চার বল থেকে আসে কেবল ৩ রান। শেষ দুই বল থেকেই নিতে হত ৫ রান। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত সেই কাজটা সারলেন দারুণভাবে। দুই চারে খেলা শেষ করে নায়ক বনলেন তিনি। প্রথম ম্যাচে নর্দান ওয়ারিয়র্সকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে মোসাদ্দেকদের মারাঠা অ্যারাবিয়ানস। দলকে জিতিতে ৩ বলে ৯ রানে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক। দলের জয়ে অবদান রেখেছেন আরেক বাংলাদেশি। বল হাতে ২ ওভারে ১৯ রান নিয়ে মুক্তার আলি নেন ১ উইকেট। মারাঠার একাদশে এদিন বাংলাদেশের সোহাগ গাজিও ছিলেন। কিন্তু ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিং কিছুই পাননি তিনি।
তবে বাংলাদেশের আরেক উদীয়মান তারকা আফিফ হোসেনের জন্য টুর্নামেন্টের শুরুটা ভালো হয়নি। ব্যাট হাতে অবদান রেখেছেন বটে। কিন্তু ছেড়েছেন ক্যাচ। হেরেছে তার দলও। শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ক্যাচ মিসের মহড়ায় দিল্লি বুলসের বিপক্ষে ৭ উইকেটে হেরেছে আফিফদের বাংলা টাইগার্স। ১২৯ রানের লক্ষ্য দিল্লি ছুঁয়ে ফেলে ৭ বল বাকি থাকতেই। নবম ওভারে ব্যাটিংয়ে নামা আফিফ ইনিংসের শেষ দুই বলে দুটি বাউন্ডারিতে ৫ বলে করেন অপরাজিত ১০ রান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন