অর্থনৈতিক রিপোর্টার : চামড়া শিল্পে ব্যবহৃত লবণের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হওয়ায় সরকার দেড় লাখ টন লবণ আমদানির অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু অনুমতি দিলেও এখনো তার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। এ জন্য চিহ্নিত চক্রকেই দায়ী করেছেন ব্যবসায়ীরা। ঈদুল আজহার আগে এমন সঙ্কটের কারণে বিপদে পড়েছেন ট্যানারি মালিকরা। তারা আশঙ্কা করছেন, সংরক্ষণের অভাবে এ বছর নষ্ট হতে পারে ৪০ শতাংশ চামড়া। কোরবানীর পর পশুর চামড়া সংরক্ষণে প্রাথমিক ধাপ লবণ মাখানো। গত বছর প্রতিটি ৭৪ কেজি লবণের বস্তার দাম ছিল ৬৫০ টাকা। কিন্তু এ বছর সেই লবণ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৪০০ টাকায়। লবণের সবচেয়ে বড় জোগান আসে কক্সবাজার থেকে। কিন্তু উৎপাদন কমে যাওয়ায় ঘাটতির কথা জানানো হয়েছিল সরকারকে। তারপর দেড় লাখ টন লবণ আমদানির অনুমতিও মিলেছে। কিন্তু এখনো সে প্রক্রিয়া শুরু হয়নি।
কোরবানীর মাসখানেক আগে লবণ কিনে মজুত রাখেন অনেক ব্যবসায়ী। কিন্তু এবার কোনো আড়তেই প্রস্তুতি শুরু করেনি। আড়তদাররা বলছেন, আমরা অপেক্ষায় আছি লবণের দাম কমে কি না এবং সরকারের কোনো সহযোগিতা আসে কি না। এবারের চড়া দামের কারণে সমন্বয় করতে প্রয়োজনের তুলনায় কম লবণ ব্যবহার করতে পারেন ব্যবসায়ীরা বলে জানিয়েছেন ট্যানারি মালিকরা।
এদিকে ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানিয়েছেন, লবণের এই চড়া দাম চলতে থাকলে কোরবানীর প্রায় ৪০ শতাংশ চামড়া নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা আছে। যার বাজার মূল্য দাঁড়াবে প্রায় ৬০০ থেকে ৬৫০ কোটি টাকা। তারা জানান, এই চামড়া যদি ধ্বংস হয়ে যায় তাহলে পুরো বছরের চাহিদা মেটাতে আমাদের কষ্ট হয়ে যাবে। এ বছর কোরবানীতে ৬০ লাখ পিস চামড়া সংগ্রহ করতে চান চামড়া ব্যবসায়ীরা। একেকটি গরুর চামড়ায় লবণের প্রয়োজন হয় ১০ কেজি। আর ছাগলের ক্ষেত্রে লাগে আড়াই কেজির মতো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন