শাহজালাল ওরফে সুমন। প্রোগ্রাম অফিসার পদে কর্মরত আছেন ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসাপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেলে। তবে নিজ উপজেলায় নামে প্রোগ্রাম অফিসার পদে থাকলেও অফিস ফাঁকি দিয়ে সন্ত্রাসী হামলা ও জমি দখল, নারী নির্যাতনসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত তিনি। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা ও জমি দখল, নারী নির্যাতনের অভিযোগে কয়েকটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা ও অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবিতে ওই বাদীকে ক্রমাগত হুমকিও দিচ্ছেন আসামি শাহজালাল। বর্তমানে তার দুটি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ১৫নং দেবীপুর ইউনিয়নের কালেশ্বরগাঁওয়ের মো. মফিজ উদ্দিনের মেয়ে মস্তাকিমা আক্তার বাদী হয়ে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেলে অভিযোগ দিয়েছেন। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সিনিয়র সহকারী সচিব মেহেদী হাসান স্বাক্ষরিত আদেশে অভিযোগটি তদন্তের জন্য সচিব-স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কে নির্দেশ দেয়া হয়। সে মোতাবেক বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. আবুল কাশেম কে প্রধান, সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. মো. রকিবুল আলম ও মেডিকেল অফিসার ডা. মো.ফারুক হোসেনকে সদস্য করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি তদন্তের দিন ধার্য করে নোটিশ দিলেও বিবাদী শাহজালাল অসুস্থতাজনিত কারণ দেখিয়ে সময়ের আবেদন করেন। একাধিকবার সময় নেয়া হলেও তদন্ত না হওয়ায় বিষয়টি বিলম্বিত হচ্ছে। ফলে ন্যায়বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ওই নারী,বলে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন।
এদিকে অভিযোগ ও মামলা প্রত্যাহারের জন্য বাদীকে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন শাহজালাল। এক সপ্তাহের মধ্যে অভিযোগ ও মামলা প্রত্যাহার না করলে গুম-খুন ও জখমসহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে শায়েস্তা করার হুমকি দেন তিনি। নিরুপায় হয়ে তার বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় মস্তাকিমা আক্তার বাদী হয়ে শাহজালাল সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে গত ১৯শে জানুয়ারি একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত শাহজালাল বলেন, অভিযোগটি তদন্তাধীন রয়েছে তাই আমি কোনো মন্তব্য করবো না। তবে যারা অভিযোগ করেন, তারা কি আর আমার ব্যাপারে ভালো কিছু বলবেন?
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন