বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

ইংল্যান্ড-পাকিস্তানের রেকর্ডময় দিন

প্রকাশের সময় : ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : গত দেড় বছর ধরে এক দিনের ক্রিকেটে বিস্ময়কর ব্যাটিং উপহার দিয়ে চলেছে ইংল্যান্ড। কিন্তু পরশু নটিংহামের ট্রেন্ট ব্রিজে যে বিস্ময় উপহার দিয়েছে তাতে হয়তো তারা নিজেরাও বিস্মিত। পাকিস্তানকে ১৬৯ রানে হারিয়ে অপ্রতিরোধ্য শৈলীতে সিরিজ জয়ের পথে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে ইংল্যান্ড।
ঘরের মাঠে এই ম্যাচ দিয়েই ১৯৯৩ সালে ইংল্যান্ডের হয়ে রবিন স্মিথের করা সর্বোচ্চ অপরাজিত ১৬৭ রানের রেকর্ড ভেঙে অ্যালেক্স হেলস করেন ১৭১ রান। ২২ বলে হাফসেঞ্চুরি হাকান জস বাটলার, ইংল্যান্ডের হয়ে যা সর্বোচ্চ দ্রুততম। বাটলারের চেয়ে ২ বল বেশি খেলে অর্ধশতক করেন অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান। এমন রেকর্ডময় ম্যাচে ৩ উইকেটে ৪৪৪ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় ইংল্যান্ড। ওয়ানডে ক্রিকেটে যা সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড। এতদিন রেকর্ডটি ছিল শ্রীলঙ্কার দখলে। ২০০৬ সালে নেদারল্যান্ডেসের বিপক্ষে ৯ উইকেটে ৪৪৩ রান করেছিল লঙ্কানরা।
রেকর্ড গড়তে শেষ ওভারে ৬ রানের দরকার ছিল ইংল্যান্ডের। প্রথম ৫ বলে মাত্র ২ রান নিতে পারেন বাটলার-মর্গ্যান। শেষ বলে হিসাবটা নেমে আসল বাউন্ডারিতে। হাসান আলীর স্লোয়ার বল এক্সট্রা কাভার দিয়ে মাঠছাড়া করেন বাটলার। ওয়ানডে ম্যাচের ইতিহাসের পাতাটা লেখা হল নতুনভাবে। দ্বিতীয় বারের মত ৪শ’র বেশি সংগ্রহ দাঁড় করাল ইংল্যান্ড। ৬ বার ৪শ’ পেরুনো ইনিংস গড়ার রেকর্ড দক্ষিণ আফ্রিকার। নটিংহামের ট্রেন্ট ব্রিজের এই মাঠ অবশ্য ব্যাটিং স্বর্গ বলেই পরিচিত। ২০০৫ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ইংল্যান্ড ৩৯১ রান করেছিল এই মাঠেই।
পাকিস্তান অতিদানবীয় কিছু করতে পারিনি, ৭.২ ওভার বাকি থাকতে অল আউট হয়েছে ২৭৫ রানে। এটাও সম্ভব হয়েছে শেষ উইকেটে ইয়াসির শাহ ও মোহাম্মাদ আমিরের ৭৬ রানের জুটির কল্যানে। ২২ বলে অর্ধশতক করা আমির, আউট হন ৫৮ রান করে। ১১ নম্বরে ব্যাটসম্যানের যা সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। স্বাগতিকদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন ক্রিস ওকস। এ নিয়ে টানা ৯ ম্যাচ ইংল্যান্ডের কাছে হারল পাকিস্তান। সেই ১৯৭৪ সালে প্রথম ইংল্যান্ড সফরে সিরিজ জিতেছিল তারা। এরপর আর ইংল্যান্ডের মাটিতে সিরিজ জেতা হয়নি পাকদের।
হেলস স্মিথের রেকর্ড ভাঙেন ৩৭তম ওভারে। তখন তার সামনে ইংল্যান্ডের হয়ে একদিনের ক্রিকেটে প্রথম দ্বিশতক করার হাতছানি। এমনকি শেষ পর্যন্ত খেলতে পারলে রোহিত শর্মার রেকর্ড ২৬৪ রানের ইনিংসটাও হয়তো হুমকির মুখে ফেলতে পারতেন। কিন্তু হিসাবের খাতায় দাঁড়ি পড়ে যায় পরের বলেই, এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে কাটা পড়েন হেলস। ১২২ বলে ১৭১ রান করার পথে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে জো রুটরে সাথে ২৪৮ রান যোগ করেন তিনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে যা যে কোন উইকেটে সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড। বাটলার-মর্গ্যান জুটি মাত্র ১২ ওভারে অবিচ্ছিন্ন থাকেন ১৩.৪১ গড়ে ১৬১ রান যোগ করে। সফরকারী বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে ঝড় গেছে ওহাব রিয়াজের ওপর দিয়ে, ১০ ওভারে দেন ১১০ রান। আর মাত্র ৩ রান দিলেই মাইক লুইসের সাথে নাম লেখাতেন ওহাব। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে জোহানেসবার্গে সেই ঐতিহাসিক হারের দিন (অস্ট্রেলিয়া ৪৩৪/৪, দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৩৮/৯) ১১৩ রান দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার মাইক লুইস। ওয়ানডেতে এটিই সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড।
লিডসে আজ সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান।



ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ
দল    স্কোর    প্রতিপক্ষ    ভেন্যু    তারিখ
ইংল্যান্ড    ৪৪৪/৩    পাকিস্তান    নটিংহাম    ৩০ আগস্ট ২০১৬
শ্রীলঙ্কা    ৪৪৩/৯    নেদারল্যান্ডস    আমস্টেলভিন    ৪ জুন ২০০৬
দক্ষিণ আফ্রিকা    ৪৩৯/২    উইন্ডিজ    জোহানেসবার্গ    ১৮ জানু ২০১৫
দক্ষিণ আফ্রিকা    ৪৩৮/৯    অস্ট্রেলিয়া    জোহানেসবার্গ    ১২ মার্চ ২০০৬
দক্ষিণ আফ্রিকা    ৪৩৮/৪    ভারত    মুম্বাই    ২৫ অক্টো. ২০১৫
অস্ট্রেলিয়া    ৪৩৪/৪    দক্ষিণ আফ্রিকা    জোহাসেনবার্গ    ১৮ জানু ২০১৫
দক্ষিণ আফ্রিকা    ৪১৮/৫    জিম্বাবুয়ে    পচেফস্ট্রোম    ২০ সেপ্টে ২০০৬
ভারত    ৪১৮/৫    উইন্ডিজ    ইনডোর    ৮ ডিসে ২০১১
অস্ট্রেলিয়া    ৪১৭/৬    আফগানিস্তান    পার্থ    ৪ মার্চ ১০১৫
ভারত    ৪১৪/৭    শ্রীলঙ্কা    রাজকোট    ১৫ ডিসে ২০১৫

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন