অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের মামলায় কুয়েতে দন্ডিত লক্ষীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী এমপি সেলিনা ইসলাম ও কন্যা ওয়াফা ইসলামের জামিন কেন বাতিল করা হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীম সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান আদেশের বিষয়টি জানান। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের মামলায় কুয়েতে দন্ডিত লক্ষীপুর-২ আসনের এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী-এমপি সেলিনা ইসলাম ও কন্যা ওয়াফা ইসলামকে বিচারিক আদালতের দেয়া জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে গতকাল আবেদন করে দুদক।
দুদকের এ মামলায় আসামীর আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করার পর হাইকোর্ট তাদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। সে অনুসারে আত্মসমর্পণের পর তাদের গত ২৭ ডিসেম্বর জামিন দেন ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। ওই জামিন আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে দুদক।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি কাজী শহীদুল ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচারসহ জ্ঞাত আয় বহির্ভ‚ত উপায়ে অর্থ অর্জন করে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। একই বছরের ১১ নভেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে দুই কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ১৪৮ কোটি টাকার অর্থ পাচারের অভিযোগে শহিদ ইসলাম পাপুল ও তার স্ত্রী সংরক্ষিত আসনের এমপি সেলিনাসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন-পাপুল, তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম ও সেলিনার বোন জেসমিন প্রধান।
এদিকে অর্থ ও মানব পাচারের অপরাধে চার বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত হয়ে কুয়েতে কারাগারে আছেন লক্ষীপুর-২ আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পাপুল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন